বিনোদনসাক্ষাৎকার

বেঁচে থাকাটাই এখন বড় ঈদঃ অধরা খান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চিত্রনায়িকা অধরা খান। ঢালিউডের একটি পরিচিত মুখ। বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে চিত্রপরিচালক ইস্পানি আরিফ জাহান পরিচালিত ‘নায়ক’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর মুক্তি পায় শাহীন সুমন পরিচালিত ‘মাতাল’ সিনেমাটি। এছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় আছে ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ সিনেমাটি। কাজ করছেন অপূর্ব রানা পরিচালিত ‘উন্মাদ’ সিনেমার। করোনাভাইরাসের কারণে সবার মতো তার সব সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

ঘরবন্দি জীবন কেমন কাটছে?

একদম ভালো না। ঘরবন্দি জীবন আর ভালো লাগছে না। করোনাভাইরাস শুরু থেকে ঘরবন্দি আছি। আর থাকতে ইচ্ছা করছে না। তারপরও সচেতন আর রোগ থেকে বাঁচার জন্য আছি। একদমই অলস সময় কাটছে।

এ অলস সময় কীভাবে কাটাচ্ছেন?

আমার বই পড়ার শখ রয়েছে। তাই প্রচুর বই পড়ছি। পাশাপাশি সিনেমা দেখছি। সবকিছু স্বাভাবিকের সময় বেশ ব্যস্ত ছিলাম। এখন আর ব্যস্ততা নেই তাই বাসায় ঘরে বসে নিয়মিত বই পড়ছি, সিনেমাও দেখছি। আগে এই জিনিসগুলো করার সময় ছিল না। এখন সময় পেয়ে কাজগুলো সেড়ে নিচ্ছি।

কতদিন ধরে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন?

আমি দুই মাস থেকেই বাসাতে আছি। এরমধ্যে দুইবার বাইরে বের হওয়া পড়ছে। কারণ হচ্ছে কিছু মানুষকে সহযোগিতা করা। আমার কিছু বন্ধুদের সহযোগিতা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সহায়তায় করে আসছি। সবমিলিয়ে প্রায় দুইশ’ লোককে সহায়তা করেছি। ঈদের আগেও কিছু মানুষকে সহযোগিতা করব। তাদের লিস্ট করেছি। আমি প্রত্যেকে বিকাশের মাধ্যমে তা দেব

করোনাভাইরাস শেষ হলে প্রথমে কী করতে চান?

করোনাভাইরাস শেষ হলে আমি আমার কাজগুলো করতে চাই। অনেক কাজ বাকি। তবে তার আগে আমি আমার গ্রামের বাড়ি যাব বাবার কবর জিয়ারত করতে। এরপর ফিরে এসে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাই। তাছাড়া নতুন কাজগুলোও শুরু করব।

রমাজন মাস চলছে, নিশ্চয় রোজা পালন করেন। এ সময় এসে রোজা নিয়ে ছোটবেলার বিশেষ কিছু কী মনে পড়ে?

হ্যাঁ, মনে পড়ে। ছোটবেলায় তিনবার খেয়ে রোজা পালন করতাম, আর এখন একবার খেয়ে পালন করি। (হাসি) অবশ্য ছোটবেলার রোজা পালন তেমন বুঝতাম না। ওই সময় বড়রা যেভাবে রোজা করতো সেটা জানতাম না। তবে ছোট ছিলাম জন্য বাবা-মা বলত তিনবার খেয়ে রোজা রাখতে হয়। সেই অনুযায়ী দিনে তিনবার খেয়ে রোজা রাখতাম। আজো ওইসব দিনগুলো স্মৃতিতে অম্লান হয়ে রয়েছে।

এবারের ঈদে কেনাকাটা করছেন না?

প্রশ্নেই আসে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাসায় থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। তাই কেনাকাটা করছি না। আমার ছোটবোনকে কেনাকাটার বিষয়ে মজা করেই জিজ্ঞেস করলাম কিছু কিনবে কিনা। ও বললো, এবার কোনোভাবেই কোনো কিছু কেনা হচ্ছে না। আসলে প্রত্যেকের জায়গা থেকে প্রত্যেকেই সচেতন।

করোনা পরিস্থিতির নিয়ে আপনার দর্শক-ভক্তদের উদ্দেশে কী বলবেন?

দর্শক-ভক্তদের বলতে চাই আমরা জনসমাগম করব না। নিরপদ দূরত্ব বজায় রাখ। আমাদের দেশটা অর্থনৈতিকভাবে অচল না হওয়ার কারণে সীমিত আকারে সবকিছু শীথিল করেছে। তাই বলে আমরা আগের স্বাভাবিক জীবনের আচরণ করব না। সামনে ঈদ আসছে ঈদেও আমরা নিরাপদে থাকার চেষ্টা করব। আর এবার এই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি, এখন বেঁচে থাকায় বড় ঈদ।

সফল হতে হলে তার কী ধরনের গুণাবলী থাকা প্রয়োজন?

সফল হতে বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে। ধৈর্য না থাকলে কোনো কিছু করা যাবে না। সময়কে বুঝতে হবে। সময়কে বুঝে নিজের ঐতিহ্যকে বুকে ধারণা করে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও সফল ব্যক্তিদের জীবনী সম্পর্কে জানতে হবে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close