বিশ্বজুড়ে

আবারো শীর্ষ ধনীর মুকুট ইলন মাস্কের

 ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক : আবারও বিশ্বের এক নম্বর ধনী হলেন টেসলা-বস মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফরাসি টাইকুন এবং বিলাসপণ্য প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচ-এর প্রধান নির্বাহী বার্নার্ড আর্নল্টকে পেছনে ফেলে ফের বিশ্বের এক নম্বর ধনী হলেন তিনি।

বুধবার (৩১ মে) প্যারিস ট্রেডিংয়ে আর্নল্টের লাক্সারি সংস্থা এলভিএমএইচের ২ দশমিক ৬ শতাংশ দরপতন হলে তার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতেও টান পড়ে। এর ফলে ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে যান তিনি।আর সেই সুবাদে শীর্ষে উঠে যান মাস্ক।

গত ডিসেম্বরে মাস্কের কাছ থেকেই শীর্ষ ধনীর খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ৭৪ বছর বয়সী আর্নল্ট। তবে এরপর থেকে বেশ কয়েকবার সম্পদের ব্যবধানে একে অপরকে ছাপিয়ে যান তারা।

আর্নল্ট ফরাসি ব্যবসায়িক গ্রুপ ‘মোয়েত হেনেসি- লুই ভুতন’ বা এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী। ফ্যাশন, জুয়েলারি, অ্যালকোহলের বাজারে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে পরিচিত কিছু বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের মালিক এই এলভিএমএইচ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে লুই ভুতন, ট্যাগ হিউর, সেফোরা, ডম পেরিগনন, ক্রিশ্চিয়ান ডিওর, ফেন্ডি, গিভেঞ্চি, মার্ক জ্যাকবস, স্টেলা ম্যাককার্টনি, লোওয়ে, লোরো পিয়ানা, কেনজো, সেলিন, সেফোরা, প্রিন্সেস ইয়টস, বুলগারি, টিফানি অ্যান্ড কোং প্রভৃতি।

বিপরীতে, মার্কিন ধনকুবের ইলন রিভ মাস্ক বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা টেসলার প্রতিষ্ঠাতা, রকেট কোম্পানি স্পেসএক্সের সিইও এবং প্রধান প্রকৌশলী। বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, নিউরালিংক এবং ওপেন এআইর সহপ্রতিষ্ঠাতাও তিনি। সম্প্রতি মাইক্রো-ব্লগিং সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল টুইটার কিনে নেওয়ার পর থেকে সেটিরও প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মাস্ক।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দাভাবের জেরে বিলাসবহুল খাতের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ম্লান হতে শুরু করেছে। গত এপ্রিলের পর থেকে এলভিএমএইচের শেয়ারের দর প্রায় ১০ শতাংশ কমে গেছে। একপর্যায়ে মাত্র একদিনে ১১০ কোটি ডলার সম্পদ হারান আর্নল্ট।

ঠিক তার উল্টো অবস্থা মাস্কের। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৩০ কোটি ডলারের বেশি লাভ করেন তিনি। মাস্কের প্রায় ৭১ শতাংশ সম্পদই টেসলা-নির্ভর। এ বছর গাড়িনির্মাতা সংস্থাটির শেয়ারের দর ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। ফলে মাস্কের মোট সম্পত্তিও বড় লাফ দিয়েছে।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের হিসাবে, বর্তমানে শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার ২০০ কোটি ডলার। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্নল্টের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭০০ কোটি ডলার

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close