আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের বেহাল দশা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়া, সড়ক জুড়ে বড় বড় আকৃতির গর্ত তৈরি হওয়া সহ নানাবিধ কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোড। আশুলিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হওয়া রাস্তাটি স্থানীয়দের নিকটে মরণ ফাঁদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে থাকা, পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে থাকায় রাস্তাটি স্বাভাবিকভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

রোববার (২৩ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির বেহাল দশা। রাস্তাটিতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গাই ভাঙা, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটিতে পানি জমে রয়েছে। বৃষ্টি ও ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তার অধিকাংশ স্থানেই বড় বড় গর্তের তৈরি হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয়দের ফেলা ময়লা-আবর্জনায় রাস্তাটির পরিস্থিতি প্রতিনিয়তই আরও খারাপ হচ্ছে। রাস্তাটির পাশেই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্প প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বৌদ্ধ মন্দির সহ একাধিক আবাসিক ভবন রয়েছে। এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিনই শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা সহ প্রায় দশ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে, এতে করে প্রতিনিয়তই তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে নানাবিধ দুর্ভোগ।

রাস্তাটি দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাজারও গাড়ী চলাচল করে। অনেক সময় গাড়ি উল্টে যাওয়া, গর্তে গাড়ি আটকে যাওয়া সহ অনেক ধরনের দুর্ভোগের কথাও জানালেন স্থানীয়রা। এছাড়াও রাস্তার পানি শুকিয়ে গেলে রাস্তা দিয়ে রিকসা, অটোরিকশা, ট্রাক ও বালুবাহী ড্রাম-ট্রাক, পিকআপ চলাচলের কারণে প্রচণ্ড রকমের ধুলার দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এতে, যাত্রী ও পথচারীদের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও রয়েছে।

স্থানীয় এসিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান জানান, বঙ্গবন্ধুর নামে রাস্তাটির এরূপ বাজে অবস্থা বঙ্গবন্ধুর নামের জন্যও অপমানজনক। রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক সময় আমাদের জামায় ময়লা লেগে যায়। এতে, বাজে একটা পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয় আমাদের। তাই, রাস্তাটিকে দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য স্থানীয় জন-প্রতিনিধির নিকটে অনুরোধ করছি।”

এ ব্যাপারে স্থানীয় ৫ ওয়ার্ড মেম্বার মো. সোহরাব হোসেন জানান, রাস্তাটির এতোই বাজে অবস্থা যে রিকসা দিয়ে যাওয়ার সময় মাজা ভেঙে যাওয়ার মতো। তবে এ ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারব না। এ বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলুন।

সাভার উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সালেহ হাসান প্রামাণিক জানান, এ রাস্তাটির টেন্ডার সিআরডিপি প্রজেক্টের আওতায় হয়ে গেছে। আশা করি আগামী দুই মাসের মধ্যেই রাস্তাটির নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করে রবং কল বার বার কেটে দিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close