বিশ্বজুড়ে
ঋতুস্রাব পরীক্ষার নামে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি কলেজের ছাত্রীনিবাসে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খুলে তাদের ঋতুস্রাব চলছে না তা প্রমাণ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গুজরাটের শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটে এ ঘটনার পর হোস্টেল কর্মকর্তা এবং দুই শিক্ষকের ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয় মোট ৬৮ জন ছাত্রীকে বাধ্য করা হয় তাদের যে ঋতুস্রাব চলছে না, তা প্রমাণ করতে।
এর আগে থেকে ভারতের অনেক অঞ্চলেই মেয়েদের ঋতুস্রাব নিয়ে নানা কুসংস্কার চলে আসছে।
সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটের ছাত্রীরা জানিয়েছেন, তাদেরকে দল বেঁধে কলেজের ক্যাম্পাস থেকে টয়লেটে হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়। এরপর সেখানেই তাদের কাপড় খুলতে বলা হয়।
কয়েকজন ছাত্রী জানিয়েছেন, এই বিষয়টি বাইরে প্রকাশ না করার জন্যও কলেজের কর্মকর্তারা তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এক ছাত্রী জানান, ১১ ফেব্রুয়ারি পুরো কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। তারা একে একে আমাদের বাথরুমে নিয়ে গেছেন, সেখানে আমাদের পরীক্ষা করে দেখেছেন, আমাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা।
ওরা আমাদের গায়ে স্পর্শ করেনি, কিন্তু মৌখিকভাবে আমাদের এমন হেনস্তা করেছে যে আমরা আমাদের কাপড় খুলে ওদের পরীক্ষা করতে দিতে বাধ্য হয়েছি।
কলেজের ছাত্রীনিবাসের কয়েকজন কর্মচারী নাকি অভিযোগ করেছিলেন, এসব ছাত্রী নিয়ম ভঙ্গ করছে।
সহজাননন্দ গার্লস ইনস্টিটিউটট পরিচালনা করে একটি হিন্দু ট্রাস্ট। যখন মেয়েদের ঋতুস্রাব চলে, তখন তাদের ছাত্রীনিবাসের রান্নাঘরে প্রবেশ করা নিষেধ।
কলেজের একজন কর্মচারি দর্শনা ঢোলাকিয়া বলছেন, এই মেয়েরা স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছিল তাদের ঋতুস্রাব চলছে কিনা সেটি পরীক্ষায়। তখন কলেজের কর্মীরা তাদের পরীক্ষা করেছে। কিন্তু তাদের শরীর কেউ স্পর্শ করেনি। এই মেয়েদের ঋতুস্রাব চলছিল। তারা এর জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এখানে মেয়েরাই দোষী, কারণ তারা মিথ্যে বলেছিল।
/আরএম