দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ইসকন মন্দিরে হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের পাঁচ সদস্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীতে একত্রিত হলে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) হাতে ধরা পড়তে হয় তাদের।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসির যুগ্ম কমিশনার ইলিয়াস শরীফ।

এর আগে, রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর সবুজবাগের বালুর মাঠ এলাকা থেকে আনসার-আল ইসলামের ৫ সদস্যকে আটক করে সিটিটিসি। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি, তিনটি ব্যাগ ও চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- মো. নিজাম উদ্দিন, মো. রায়হান ভূঁইয়া, মো. হানিফ উদ্দিন সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন।

ইলিয়াস শরীফ বলেন, সংগঠনের দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ওরফে উসমান গণি ওরফে আবু আইয়ুব আল আনসারীর মাধ্যমে আটক পাঁচজন আনসার-আল ইসলামে উদ্বুদ্ধ হন। তারা নিজেদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন গোপন অ্যাপসে যোগাযোগ করতেন।

তিনি আরো জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসকন মন্দির ও ইসকনের অন্যান্য স্থাপনায় হামলাসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই পাঁচ জঙ্গি একত্রিত হয়েছিলেন। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, টেলিগ্রাম, অনলাইন চ্যাট গ্রুপ ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন এবং সংগঠনের অর্থ সংগ্রহ করতেন।

দাওয়াতী শাখার প্রধান নাজমুল ইতোপূর্বে জঙ্গিবাদবিরোধী চলচ্চিত্র নির্মাণ করায় চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত খানকে হত্যাচেষ্টা ও পরিকল্পনার সমন্বয় করেছিলেন। তিনি কুয়েতে থাকাকালীন টেলিগ্রাফে ‘এসো কাফেলাবদ্ধ হই’ গ্রুপের মাধ্যমে এই হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দেন।

সিটিটিসির যুগ্ম কমিশনার ইলিয়াস শরীফ জানান, এ ঘটনায় ২০১৮ সালে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করার পর নাজমুল দেশে ফিরে পুনরায় সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close