দেশজুড়ে

বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো মানিকগঞ্জের তিন কিশোরী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মানিকগঞ্জে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষায় পেলো তিন কিশোরী। আজ শুক্রবার (৭ জুন) স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে বন্ধ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জেলার হরিরামপুর উপজেলায় দুজন ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। দুটি বিয়েই হচ্ছিল উপজেলার কালই গ্রামে। ওই গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৩) সঙ্গে একই উপজেলার মালুচি গ্রামের নূর আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানের বিয়ের আয়োজন করা হয়। খবর পেয়ে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিয়াস মেহেদী ওই বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন।

এদিকে দুপুরে হরিরামপুরের কালই গ্রামের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর (১৭) সঙ্গে উপজেলার ধূসরিয়া গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে পুলিশ কনের বাড়ি থেকে উভয়পক্ষের লোকজনকে আটক করে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদেরকে হাজির করা হয়। সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইউএনও ইলিয়াস মেহেদী কনের বাবা আবু হানিফকে সাতদিন এবং বর দেলোয়ারকে সাতদিন কারাদণ্ডাদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও ইলিয়াস মেহেদী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাড়িতে বরপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কনের বাবা ইউনুস আলীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া জেলা সদরের গিলন্ড গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ছিল ওই ছাত্রীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ওই ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন সরকার সংবাদমাধ্যমে বলেন, স্থানীয় নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাকিব হোসেনকে ওই বাড়িতে পাঠিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close