ব্যাংক-বীমা
এবার চায়ের দোকানদারও পাবে ব্যাংক ঋণ
ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রায় দেড় বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের সকল স্তরের মানুষ। আর তাই করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক, ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীর মতো দরিদ্রদের কম সুদে ঋণ দিতে ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ তহবিল থেকে এসব দরিদ্রদের সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে ৩ বছর মেয়াদে ঋণ দেওয়া হবে। ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত নেওয়া হবে না। বিশেষ সুবিধায় ১০, ৫০ ও ১০০ টাকা জমা দিয়ে খোলা ব্যাংক হিসাবের গ্রাহকরাই এ তহবিল থেকে ঋণ পাবেন।
এ বিষয়ে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এটি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের অর্থনীতির মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে এ তহবিল গঠন করা হয়েছে। তহবিলের মেয়াদ হবে ৫ বছর। প্রয়োজনে এর মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে। তহবিলের আকারও বাড়ানো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে এ তহবিলের জোগান দেওয়া হবে। এ তহবিলের আওতায় ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের ঋণ দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শতভাগ অর্থায়ন করা হবে। এর বিপরীতে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সুদ নেবে মাত্র ১ শতাংশ। গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাংকগুলো নিতে পারবে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদ। তবে এর কমও সুদ নেওয়া যাবে।
এ তহবিল থেকে ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র, মাইক্রো, ভূমিহীণ কৃষক, দর্জি, চা দোকানদারসহ এমন স্বল্প আয়ের পেশাজীবীরা ঋণ পাবেন। স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাব খোলা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা ঝরে পড়েছেন, তারাও এ তহবিল থেকে ঋণ পাবেন। তবে কোনো ঋণখেলাপি বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদ ভর্তুকির আওতায় ঋণপ্রাপ্তরা এ তহবিলের ঋণ পাবেন না।
একক গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা, ২ থেকে ৫ সদস্যের দল হলে প্রতি সদস্য ৪ লাখ টাকা করে দলে ২০ লাখ টাকা ঋণ দেয়া যাবে। ঋণের বিপরীতে কোনো জামানত দিতে হবে না। তবে দুজন গ্রাহকের গ্যারান্টি দিতে হবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড হবে ছয় মাস। গ্রেস পিরিয়ড ছাড়া পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে।
/ আর এইচ এস