দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

গাজীপুরে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত ১

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গাজীপুরে কিশোর নুরুল ইসলাম (১৬) হত্যার ঘটনায় ‘ভাই-ব্রাদার্স’ গ্রুপের মূল হোতা রাসেল মিয়াসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সরোয়ার-বিন-কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘তুই’ বলাকে কেন্দ্র করে দুই কিশোর গ্রুপের দ্বন্দ্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, কিশোরঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সুরাটি গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (১৮), গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের নতুন পটকা গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২১), সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার জুগনিদাই গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৭), গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম গ্রামের মহসিন সিকদারের ছেলে জোবায়ের হোসেন (১৭), জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডালবাড়ী গ্রামের খায়রুল শেখের ছেলে শেখ আমির হামজা (১৯), গাজীপুর মহানগরের জামতলা গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ পাটোয়ারী ছেলে সুজন পাটোয়ারী (১৭)।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সরোয়ার-বিন-কাশেম জানান, ‘ভাই-ব্রাদার্স’ গ্রুপের প্রধান রাসেল মিয়া এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ গ্রুপ গঠন করে। ঘটনার দিন ৩ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বেই গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা ধারালো চাপাতি নিয়ে  গাজীপুর মহানগরের ‘রাজদীঘিরপাড়’ গ্রুপের সদস্য নুরুল ইসলামকে আক্রমণ করে ভিকটিম নুরুল ইসলামকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ‘তুই’ বলাকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি চাপাতি, তিনটি চাকু, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ আট হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

নিহত নুরুল ইসলাম গাজীপুর রাজবাড়ী আদালতপাড়া এলাকায় চায়ের দোকানে কাজ করতো। তার বাবার নাম ফকির আলী। তিনি মহানগরের সাহাপাড়ায় থাকতেন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাসা পরিবর্তন করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে টাঙ্কিরপাড় এলাকার ফরিদের বাসা ভাড়া নেন তিনি। তার ছেলে নূর ইসলাম ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাসায় খাওয়া শেষে রাজদীঘির উত্তর পাড়ে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলো। এ সময় কয়েকজন এসে তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহতাবস্থায় নূর ইসলামকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close