স্বাস্থ্য

চট্টগ্রামে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছে আজ শনিবার (১৫ জুন)। ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ডা. দেবী শেঠী এ হাসপাতালের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের উদ্বোধনকালে ‘বাংলাদেশে এই প্রথম আন্তর্জাতিকমানের পরিকল্পিত স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের বিশ্ববিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী প্রসাদ শেঠী। তিনি আরও বলেন, এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

জানা গেছে, নগরের পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের পাশে প্রতিষ্ঠিত এ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসা ডা. দেবী শেঠীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এ বিভাগের নামকরণ করা হয়েছে ইম্পেরিয়াল-নারায়ণা কার্ডিয়াক বিভাগ।

সাত একর জমির মধ্যে ৫টি ভবন নিয়ে মোট ৬ লাখ ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গায় এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত। এর মধ্যে রয়েছে হাসপাতালের নার্সেস এবং টেকনিশিয়ান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্থাপত্য সংস্থা এ হাসপাতালের মূল নকশা প্রণয়ন করে। একটি ইউরোপিয়ান কনসালটেন্ট গ্রুপ নকশা অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়নে প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি এবং বায়োমেডিকেল বিষয়ে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করেছে।

হাসপাতালের ডিরেক্টর (স্ট্র্যাটেজিক কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট) মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন বলেন, এখানে রয়েছে সার্বক্ষণিক ইমার্জেন্সি সেবা এবং কার্ডিয়াক, ট্রান্সপ্ল্যান্ট, নিউরো, অর্থোপেডিক ও গাইনি অবস্‌ ইত্যাদি সম্বলিত ১৪টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটার; আছে ১৬টি নার্স স্টেশন ও ৬২টি কনসালটেন্ট রুম সম্বলিত বহির্বিভাগ এবং আধুনিক গুণগত মানসম্পন্ন ৬৪টি ক্রিটিকাল কেয়ার বেড; নবজাতকদের জন্য ৪৪ শয্যাবিশিষ্ট নিওনেটাল ইউনিট এবং ৮টি পেডিয়াট্রিক আইসিইউ। রোগী ও তার সাথে আগত স্বজনদের জন্য হাসপাতাল পরিধির মাঝে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য ১০ শতাংশ শয্যা সংরক্ষিত আছে। হাসপাতালে ৮৮টি সিঙ্গেল, ৭৬টি ডাবল কেবিন, ৮টি পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, রোগীর স্বজনদের থাকার জন্য ৪০টি রুম এবং ২৭১ জন থাকার ডরমেটরি রয়েছে।

ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, এই হাসপাতালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে শুধু ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর চিকিৎসাই নয়, ইউরোপ এবং সিঙ্গাপুরের সমমানের স্বাস্থ্যসেবাও মিলবে। ট্রাস্ট পরিচালিত এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে দেশের মানুষের আর্থিক বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। দেশের শীর্ষ হাসপাতালগুলোর চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে। গত ১০ বছর ধরে চেষ্টার ফসল আজকের ইম্পেরিয়াল।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close