কৃষি

টাঙ্গাইলে কলা চাষে স্বাবলম্বী কৃষকরা

টাঙ্গাইল প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের মধুপুর-ধনবাড়ী উপজেলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাধারণ কৃষকরা কলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এর ফলে অর্থনৈতিক সচ্ছলতাও এসেছে তাদের। অর্থকরী ফসল হিসাবে কলা চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এই দুই উপজেলার মাটি দোআঁশ ও বেলে দোঁআশ হওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদের ক্ষেত্রে ধান আবাদকেই প্রাধান্য দিয়ে আসছে। কৃষকরা এখন পুরাতন ধ্যান ধারনা পাল্টে লাভজনক ফসল হিসাবে কলা চাষের উপর ঝুঁকে পড়ছে। এই দুই উপজেলায় অমৃত সাগর, সবরী অনুপম, চাম্পা, কবরী নেপালী, মোহন ভোগ মানিকসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ হয়ে থাকে। তবে সবরী, মানিক মেহের সাগর ও নেপালী কলার চাহিদা অনেক বেশি।

কারণ হিসাবে জানা গেছে ধান, পাট ও আঁখসহ প্রচলিত অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম। বিক্রির ক্ষেত্রেও ঝামেলা নেই। কলার বাজার দরেও সহজে ধ্বস নামে না। কলার চারা বছরে তিন মওসুমে রোপন করা যায়। প্রথম মওসুম মধ্য জানুয়ারী থেকে মধ্য মার্চ, দ্বিতীয় মওসুম মধ্য মার্চ থেকে মধ্য মে এবং তৃতীয় মওসুম মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য নভেম্বর। একবার কলার চারা রোপন করলে ২/৩ মওসুম চলে যায়।

কলা চাষীরা জানান, এক একর জমিতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করলে তাদের আবাদী কলা বিক্রি হয়ে থাকে এক থেকে সোয়া লাখ টাকায়। বর্তমানে মধুপুর উপজেলার ভবানীটেকী, গরমবাজার কাউচি বাজার, শোলাকুড়ি ও ধনবাড়ীর নল্যা, জমশেরপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে কলার চাষ হচ্ছে।

এই উপজেলার অনেক কৃষক কলা চাষ করে আজ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close