দেশজুড়ে

একসময়ের কেওড়া গাছে শোভিত চর এখন বসতি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মাত্র এক বছরে আমূল বদলে যাওয়া জনপদ নোয়াখালীর ভাসানচর। একসময়ের কেওড়া গাছে ঢেকে থাকা চরে এখন পুরোপুরি গড়ে উঠেছে বসতি। মসজিদ-মাদ্রাসা-খেলার মাঠসহ উন্নত জীবনধারণের কোনো কিছুরই কমতি নেই।

ভাসানচরের এক প্রান্তে আল হেরা সুপার মার্কেট। এখানে মিলছে রোহিঙ্গাদের জীবনধারণের সবকিছুই। পরনের কাপড়, প্রসাধনীসামগ্রী, সাংসারিক জীবনের সবকিছু মিলবে এখানে।

আরেক প্রান্তে আইল্যান্ড মলের অবস্থান। মানসম্মত জিনিসপত্রের সমাহার। জাতিসংঘের হয়ে ভাসানচরের বিদেশিরাই এখানকার মূল ক্রেতা। তবে অন্যান্য এনজিও কর্মকর্তারাও এই মল থেকে কেনাকাটা করেন। এ দুটো সুপারশপ থেকেই ভাসানচরের বদলে যাওয়া চিত্র পরিষ্কার।

ভাসানচর আল হেরা সুপার মার্কেটের মালিক গাজী চেয়ারম্যান জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য এখানে জিনিসপত্র রেখেছি। আমাদের ক্রেতা রোহিঙ্গারা। এ ছাড়া এনজিও কর্মী ও বিদেশিরা এখান থেকে প্রয়োজনসামগ্রী ক্রয় করে।

এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হলে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়া আশ্রয় শিবির থেকে সরিয়ে নিতে গড়ে তোলা হয় ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে আনা শুরু হয়। মাত্র ১ বছরের মধ্যেই ভাসানচরের পুরো দৃশ্যপটই বদলে যায়।

আর গত ১ মাসের মধ্যেই জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের দুটি টিমের ভাসানচরে অবস্থানকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন রোহিঙ্গারা।

জাতিসংঘের কার্যক্রম শুরু হলে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিদ্যমান সমস্যাগুলো দূর হবে বলে আশা শরণার্থীবিষয়ক কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেনের।

/এএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close