প্রধান শিরোনামস্বাস্থ্য

স্বাদ-গন্ধ না পেলেই কি করোনা? ডাক্তার কি বলছেন..

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: করোনার এই সময়ে ঘ্রাণশক্তিই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে কোভিড ১৯ এর অন্যতম উপসর্গ ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলা। এমনকি তীব্র বাজে গন্ধ পাওয়া বা সব গন্ধ একইরকম মনে হওয়া, খাবারের স্বাদ হারিয়ে ফেলা।

গতবছর ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার মতো দেশ মে মাসেই নাকে গন্ধ না পাওয়া উপসর্গকে করোনা সংক্রমণের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ বলে ঘোষণা দেয়। এবং বর্তমান করোনা ওয়েভে বেশীরভাগ জ্বরের রোগীই বলছেন জ্বরের সময়ে কিংবা পরবর্তীতে নাকে গন্ধ পাচ্ছে না।

প্রায় ৮০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেই স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব পড়ে। যার কারণে নাকের অলফ্যাক্টরি নার্ভ সংক্রমণের কারণ গন্ধ বিষয়ক জটিলতা হয়।

কী কী ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছেঃ

• গন্ধ পাচ্ছেন না অনেকেই, অনেকের ক্ষেত্রেই এই অনুভূতি ফিরে আসতে সময় লাগছে। বা কেউ সেরে গিয়ে কোভিড নেগেটিভ হয়ে গন্ধের অনুভূতি ফিরে পাননি মাস দুই-তিন পরেও।

• কারও গন্ধহীনতার সাথে ক্ষেত্রে স্বাদের সমস্যা হচ্ছে।

• এনকেফালাইটিস হলে মস্তিষ্কের কোষ থেকে কোভিড ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। কোভিড রক্তে ছড়িয়ে পড়লে যে কোনও জায়গায় যেতে পারে, তাই প্রভাব পড়ছে মস্তিষ্কেও এবং স্নায়ুতন্ত্রে।

• কারও ক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি হারানোর সঙ্গে সঙ্গে মাথাতেও তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে।

কী কী করা উচিৎঃ

উপসর্গ তিন-চার দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই নিজেকে আইসোলেট করে রাখা উচিত। কোভিড টেস্ট করা উচিত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। কারও কারও ক্ষেত্রে সমস্যাটা সাময়িক হলেও, অনেকের দীর্ঘকালীন ক্ষতি হচ্ছে। তাই সচেতন থাকতে হবে।

স্বাদ-গন্ধ না পেলেই কি করোনা?

মোটেই নয়। কোভিডচলাকালীন দুই বছরের আগেও তার এইধরনের সমস্যা ছিল কিনা। কারন সাইনুসাইটিস হলেও অনেকে গন্ধ কম পেতে পারে। এট্রোপিক রাইনাইটিস হলেও নাকে বাজে গন্ধ পেতে পারে। এছাড়া কোভিডের ক্ষেত্রে শুধু নয়, অনেক ক্ষেত্রে যে কোনও ভাইরাল জ্বরেই গন্ধ চলে যেতে পারে। শুধু গন্ধ চলে গেলেই কোভিডে এমনটা নয়।

ডায়াবিটিস, অ্যালঝাইমার্স ও পার্কিনসনসের মতো অসুখ হলে অনেক সময় রোগীরা ঘ্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলে নার্ভের দূর্বলতার কারণে

বর্তমানে আমাদের করণীয় কী?

এখন জ্বর এলে তার সঙ্গে যদি স্বাদ-গন্ধ চলে যায়, তা হলে একটা সন্দেহের জায়গা থাকে চিকিৎসকের। তাহলে কি কোভিড হল? কিন্তু RT PCR পরীক্ষা না করে কোনও কিছু বলা উচিত নয়। কারণ এখন শতশত রোগী আছে যাদের কোন উপসর্গই হয় না।

১.তবে SMELL EXERCISE করতে পারেন
২.নাক নিয়মিত লবণ গরম পানি দিয়ে পরিস্কার করতে পারেন
৩.পুস্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং
৪.অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: ডা আসিফ আব্দুল্লাহ
এমবিবিএস, এমপিএইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close