দেশজুড়ে

দুর্নীতির দায়ে রাজউক কর্মকর্তার কারাদণ্ড

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর ডিজাইন শাখার কার্য তদারককারী মান-২ এর কর্মকর্তা (সাময়িক বহিষ্কৃত) জাজাউল হক মুন্সী জুন্নুকে (৪৭) তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় এ রায় ঘোষণা করেন।

জাজাউল হক মুন্সী জুন্নু গোপালগঞ্জের বৌলতলীর কলপুর গ্রামের মৃত জুলফিকার আলী মুন্সীর ছেলে।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো তিন মাস কারাভোগ করতে হবে। রায়ে আসামির অবৈধভাবে অর্জিত ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

জাজাউল হক মুন্সী জুন্নু মামলাটিতে জামিনে ছিলেন। এদিন তিনি আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে আইনজীবী সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণা করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য, রাজউকে কর্মরত থাকা অবস্থায় চাকরিচ্যুত সময় বাদে জাজাউল হক মুন্সী জুন্নু ১৯৯৮ সালের জুন মাস থেকে ২০১৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা বাবদ সর্বমোট ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫২৩ টাকা আয় করেন। ওই সময়কালে তিনি ব্যয় করেছেন চার লাখ ৬০ হাজার ৪০০ টাকা। আয় হতে ব্যয় বাদ দিলে তার সম্পদ থাকার কথা ২ লাখ তিন হাজার ১২৩ টাকা। কিন্তু তার ও তার পোষ্যদের নামে ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৭ টাকার সম্পদ। এছাড়া গোপালগঞ্জ সদরে কেনা সম্পত্তির চারটি দলিলে দুইটিতে তিনি তার পেশা ব্যবসা উল্লেখ করেন।

তিনি যে বেতন ভাতা পান তা দিয়ে সংসারের খরচ নির্বাহ করে জমি কিনতে পারার কথা নয়। তিনি ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৫১৪ টাকা অবৈধ অর্থ দিয়ে জমি কিনেছেন মর্মে দুদক উপপরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন।

একই কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ছয়জন সাক্ষীর মধ্যে চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

দুদকের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট রুহুল ইসলাম খান। আর আসামির পক্ষে ছিলেন মো. শাহাবুদ্দিন শেখ।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close