দেশজুড়ে

মাদারীপুর মডেল থানা; দুই মাসে ৪ শতাধিক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেপ্তার

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মাত্র দুই মাসে হত্যা, খুন, ধর্ষণ, মাদক ও চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন মামলার ৪ শতাধিক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেপ্তার মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। তালিকা রয়েছে  আলোচিত ঘটনা মাদ্রাসা ছাত্রী সানজিনা আক্তার দীপ্তি ধর্ষণ ও হত্যা মামালার   উদঘাটন।

এতে মাদারীপুরের সুশীল সমাজ ও সাধারন মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা দাবী করেন, শুধু মাদারীপুর সদরেই নয়, পুরো জেলায় যেসব আসামীরা ওয়ারেন্টভুক্ত হওয়ার পরেও গ্রেপ্তার হচ্ছে না, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।

মাদারীপুর সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ খুন, ধর্ষণ, মাদক, অপহরণ, নারী নির্যাতন, ছিনতাইসহ বিভিন্ন মামলার ২৯০ টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করেছে। যার মধ্যে জিআর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ১৬১ জন এবং সিআর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৫৮ জন আসামী। এছাড়া ১৯ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে একই মাসে ১৩ হাজার ৭’শ ৯৫ পিচ ইয়াবা ও ২৪ কেজি ৭৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ ৩৪ ব্যক্তিকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে ১২ টি মামলা রুজু করা হয়েছে।

এছাড়া জুলাই মাসের জেলার সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা মাদ্রাসা ছাত্রী সানজিদা আক্তার দীপ্তি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামী সাজ্জাদ হোসেন খানকে র‌্যাবের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং নারী অপহরণ ও নারী নির্যাতনের মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ।

এদিকে আগষ্ট মাসে একই থানা পুলিশ পুলিশ খুন, ধর্ষণ, মাদক, অপহরণ, নারী নির্যাতন, ছিনতাইসহ বিভিন্ন মামলার ৩১২ টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করেছে। যার মধ্যে জিআর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ১৬১ জন ও সিআর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৭২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ২০ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।

এদিকে আগষ্ট মাসে ৭’শ ৬১ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারসহ ১৮ ব্যক্তিকে আটক করে ১৪ টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়া ৫ টি ধর্ষণ মামলায় ৭ জন আসামীকে গ্রেপ্তার,২ টি অস্ত্র মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার ও মানবপাচার মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আগষ্ট মাসে মাদারীপুর সদর থানায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় ৩২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে মাদারীপুর সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য ও মাদারীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.আর.মুর্তজা বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে যদি কোন আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় সেটি আসলে সমাজ ও পুলিশ প্রশাসনের উপরে নেতিবাচক প্রভাবই বেশি ফেলে। তবে এটি এখন স্বস্তির বিষয় যে, মাদারীপুর সদর উপজেলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো ৪ শতাধিকের বেশি আসামীকে গত দুই মাসে সদর থানা পুলিশ তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসায় জনগণের মধ্যে অনেকটাই স্বস্তি এসেছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক।

এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সওগাতুল আলম বলেন, ‘মাদারীপুর সদর থানায় কোন আসামী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারবে না। তাদেরকে অবশ্যই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, যারাই অপরাধ কাজে যুক্ত হবেন, তাদেরকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close