দেশজুড়েধামরাইস্থানীয় সংবাদ

ধামরাইয়ে মুরগি জখম হওয়ায় দুই স্কুলছাত্রকে মারধর

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ধামরাইয়ে ক্রিকেট খেলা চলাকালে একটি মুরগি জখম হওয়ার জের ধরে দুই স্কুলছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে।

উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের দেপাশাই গ্রামে শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার ওই দুই স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি আবাসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নির্যাতনের শিকার ওই দুই স্কুলছাত্রের খোঁজখবর নিয়েছে।

নির্যাতনের শিকার ওই দুই স্কুলছাত্র হলো দেপাশাই গ্রামের বাসিন্দা মো. আওলাদ হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মো. হেলাল হোসেন (১১) এবং একই গ্রামের মো. আবদুস সালামের ছেলে ও ভালুম আতাউর রহমান খান স্কুল এন্ড কলেজের স্কুল শাখার দশম শ্রেণির ছাত্র মো. পারভেজ হোসেন (১৬)।

ওই দুই স্কুলছাত্রের পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হেলাল হোসেন ও পারভেজ হোসেন সহপাঠীদের নিয়ে দেপাশাই কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ক্রিকেট খেলছিল। এ সময় মাঠের পাশের মো. শামসুল ইসলামের বাড়ি থেকে একটি মুরগি উড়াল দিয়ে মাঠে আসলে হেলালের বলে মো. পারভেজ হোসেনের মারা ওভার বাউন্ডারিতে আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে মুরগি জবাই করে তার বাড়িতে পাঠানো হয়।

আর এ দৃশ্য দেখে মো. শামসুল ইসলাম তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ওপর। মো. শামসুল ইসলাম ও তার ছেলে মো. রিপন হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে দৌড়ে মাঠে গেলে অপরাপর খেলোয়াড়রা মাঠ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় পিতা-পুত্রের হাতে আটক হয় চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্র মো. হেলাল হোসেন ও দশম শ্রেণির স্কুলছাত্র মো. পারভেজ হোসেন। এরপর তাদেরকে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে জনসমক্ষে মারধর করেন তারা।

আশপাশের লোকজন দাঁড়িয়ে অবাক বিস্ময়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা কেউ তাদের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।

যখন তাদের মুখ দিয়ে লালা ও ফ্যানা গড়িয়ে পড়তে থাকে এবং নিস্তেজ হয়ে পড়ে যায় তখন মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পরে গ্রামবাসী লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে নির্যাতনকারী ওই পিতাপুত্রের কাছ থেকে ওই দুই ছাত্রকে উদ্ধারের পর ধামরাই সরকারি আবাসিক হাসপাতালে ভর্তি করে।

ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ব্যাপারে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রিপন হোসেন সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও নির্যাতনের শিকার ওই দুই স্কুলছাত্রের খোঁজখবর নেন। এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close