করোনাদেশজুড়ে

করোনা সংক্রমণের চতুর্থ স্তরের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের চতুর্থ স্তরের প্রথম পর্বে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। রোগ সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে পৌঁছানোর অর্থ, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে বহু মানুষ, বহু মানুষকে হাসপাতালে যেতে হবে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে। এই অবস্থায় জনস্বাস্থ্য কাঠামোকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ঘরে ঘরে গিয়ে রোগী শনাক্ত করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও এর ব্যাপকতার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের দেশগুলোকে চারটি স্তরে ভাগ করেছে। একজনেরও সংক্রমণ শনাক্ত না হওয়া দেশ স্তর-১-এ। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি শনাক্ত হওয়া ও তাঁদের মাধ্যমে দু-একজনের সংক্রমণ, স্তর-২। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সংক্রমণ সীমিত থাকলে তা স্তর-৩। আর স্তর-৪ হলো সংক্রমণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া।

এর আগে, ১ ফেব্রুয়ারি চীনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ৩৬১ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়। বাতিল করা হয় চীনা নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা। বন্দরগুলোতে বসানো হয় থার্মাল স্ক্রিনিং মেশিন।৮ মার্চ বাংলাদেশ প্রথম ঘোষণা করে, দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি আছে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সংক্রমণ পরিস্থিতির দ্বিতীয় স্তরে পৌঁছায়। সংক্রমিত ব্যক্তিরা ছিলেন বিদেশফেরত। এটাকে স্থানীয় সংক্রমণ বলা হয়।

এই বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মাধ্যমে বেশ কিছু মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে এমন বলতে থাকে আইইডিসিআর। কিন্তু রাজধানীর টোলারবাগে একটি সংক্রমণের ইতিহাসে দেখা যায়, সংক্রমিত ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণ বা বিদেশফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ইতিহাস নেই। এরই মধ্যে ৫ এপ্রিল সংক্রমণের তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ এমন বক্তব্য দেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা।

দেশে ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। ২১ মার্চ ঢাকার টোলারবাগে মারা যান ৭৩ বছর বয়সী আরেক বৃদ্ধ। ২৩ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত একজন করে মারা যান। এক সপ্তাহ বিরতি দিয়ে ১ এপ্রিল মারা যান আরেকজন। আর ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল এই ১৫ দিনে করোনায় মারা গেছেন ৭৮ জন। আর প্রথম শনাক্ত হওয়ার এক মাস ১৮ দিন পর এসে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৪৪ জনে। যা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে বেশি।

তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণের চতুর্থ স্তরের প্রথম পর্বে রয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে জানা যাচ্ছে না সংক্রমণের উৎস। সামাজিক সংক্রমণের মাত্রা এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close