দেশজুড়ে

মশা মারার টাকায় বিদেশ ভ্রমণে ডিএসসিসির কর্তারা!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মশার ওষুধ কম ছিটিয়ে সেই টাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কিছু কর্মকর্তারা বিদেশে প্রমোদ ভ্রমণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি রাজধানীতে ডেঙ্গু জীবাণুবাহিত মশার দৌড়াত্ব বৃদ্ধি পেলে তা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মশা মারার ওষুধ না ছিটানোসহ মশা নিধন কার্যক্রম মনিটরিং না করার অভিযোগের অনুসন্ধানে নামে দুদক।

এ অনুসন্ধান চলাকালীন ডিএসসিসি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগটি আসে বলে জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

তিনি জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গুবাহী এডিস ও কিউলেক্স মশা মারার ওষুধের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওষুধের বাজেটের এ টাকায় ডিএসসিসির বেশকিছু কর্মকর্তা গত চার বছর বিদেশে গিয়েছেন বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তারা কেন বিদেশে গিয়েছেন, কতো টাকা খরচ হয়েছে, সেই দেশে গিয়ে মশক নিধনের কী উপকার হয়েছে এসব প্রশ্নের জবাব তা খুঁজবে দুদক।

এদিকে মশার ওষুধ কেনা হয়েছে ও সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডিএসসিসির ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) মো. লিয়াকত হোসেন।

মশার ওষুধের টাকায় বিদেশ ভ্রমণ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশে প্রশিক্ষণে যাদের পাঠানো হয়েছে তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। কোন টাকা এখানে ব্যবহৃত হয়েছে যে বিষয়ে কিছুই জানি না।’

সূত্র জানায়, এখনও ডিএসসিসির মশা নিবারণী দফতরের একজন উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণে রয়েছেন।

সারা দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাবার সময়ে ওই কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণ বিষয়টি অভিযোগের সত্যতাকে আরও দৃঢ় করছে।

তাই মশা নিধনের জন্য বরাদ্দ বাজেটের টাকা নয়-ছয় হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে দুদকের একটি তদন্ত দল।

দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ডিএসসিসির কাছে গত চার বছরের বাজেট ও ব্যয় বরাদ্দের হিসাব চেয়েছে তদন্ত দলটি।

মঙ্গলবার মশক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং মশক নিবারণ দফতরে (লালবাগ, ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকায়) দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। অভিযান চলাকালে মশক নিবারণ দফতরে প্রধান কর্মকর্তাকে পাননি দুদক কর্মকর্তারা।

সূত্র আরও জানায়, গত চার বছরে কী পরিমাণ মশার ওষুধ ক্রয় করা হয়েছে এবং সেগুলো কী হারে ব্যবহার করা হয়েছে তা আজ (৭ আগস্ট) জানাতে দুদকের অভিযান পরিচালনাকারী দল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে অনুরোধ জানিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close