তথ্যপ্রযুক্তি

প্রথমবারের মত সূর্যের সৌরমন্ডলে প্রবেশ করল মহাকাশযান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: প্রথমবারের মত সূর্যের বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করল নাসা’র মহাকাশযান। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে আমেরিকান জিও ফিজিক্যাল ইউনিয়নের সম্মেলনে প্রকাশ পাওয়া এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

মানবসভ্যতার ইতিহাসে এই প্রথম সূর্যকে স্পর্শ করল নাসার পার্কার সোলার প্রোব মহাকাশযান। চলতি বছরের এপ্রিলেই সূর্যের বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে পার্কার। সেসব তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কিছুদিন আগে এবিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলবার ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয় তাদের গবেষণা।

অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী ইউজিন পার্কারের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে মহাকাশযানটির। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র হলেও সূর্য সম্পর্কে তথ্য রয়েছে খুবই সীমিত। এ লক্ষ্যেই ২০১৮ সালে উৎক্ষেপন করা হয় পার্কারকে। এরপর থেকে ঘণ্টায় ৫ লাখ কিলোমিটার বেগে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে মহাকাশযানটি। প্রবল তাপমাত্রা আর বিকিরণের মুখেও একটু একটু করে সূর্যের বায়ুমন্ডলের গভীরে প্রবেশ করতে থাকে পার্কার।

সূর্যের বায়ুমন্ডলের বাইরের অঞ্চল করোনা নামে পরিচিত। এই করোনা অঞ্চল সূর্যের পৃষ্ঠের চেয়ে অনেক বেশি উত্তপ্ত। অনুসন্ধানে নিয়োজিত রয়েছে নাসার পার্কার মহাকাশযান। করোনা অঞ্চল থেকে বিভিন্ন কণার নমুনা ও নক্ষত্রটির চৌম্বক ক্ষেত্র সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পাঠনো হয় এই মহাকাশযানটি। এছাড়া সৌরজগতে সূর্যের প্রভাব, সৌর ঝড় ও সৌর শক্তির কণা সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করছে পার্কার।

৭ বছরে ২১ বার সূর্যের খুব কাছে যাবে পার্কার। সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে ৩৯ লাখ মাইলেরও কম দূরত্বে যাবে। তবে সূর্যের করোনা অঞ্চলের তীব্র তাপেও কোন ক্ষতি হবে না পার্কারের। এর যন্ত্রাংশগুলোর সুরক্ষায় রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী হিট শিল্ড। এছাড়াও রয়েছে স্বয়ংক্রিয় কুলিং সিস্টেম। সূর্যের তাপ যতটা সম্ভব প্রতিফলিত করতে সূর্যের দিকের অংশটি সাদা রঙ করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৩শ ডিগ্রী সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে এই মহাকাশযানটি।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close