দেশজুড়ে

দুই বছরে ৪৭১টি মামলা; ১০৮৮ রোহিঙ্গা আটক

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিছু সংখ্যক উগ্রবাদী রোহিঙ্গার কারণে বেড়েই চলছে অপরাধ। প্রতিনিয়ত খুন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, ডাকাতি, পুলিশের ওপর হামলা, মানবপাচার, অপরহণসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে তারা। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গত দুই বছরে বিভিন্ন ঘটনায় ৪৭১টি মামলা করেছে পুলিশ। এতে আসামি করা হয়েছে ১০৮৮ জনকে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ প্রবণতার হার ক্রমেই বাড়ছে। কিছু রোহিঙ্গার উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে সাধারণ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও আতঙ্কে থাকছেন। রাত হলেই একের পর এক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে ক্যাম্পের ভেতরে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গত দুই বছরে ৪৭১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছে ১০৮৮জন। এরমধ্যে হত্যা মামলা ৪৩টি, অস্ত্র মামলা ৩৬টি, মাদক মামলা ২০৮টি, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ৩১টি, ফরেনার্স অ্যাক্টে ৩৭টি, অপহরণ মামলা ১৫টি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২১টি, পুলিশের ওপর হামলায় ১টি, ডাকাতি ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে ৯টি, মানবপাচার মামলা ২৪টি ও অন্যান্য অভিযোগে ৪৬টি মামলা হয়েছে। গত ২০১৭ থেকে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে নেতৃত্বের আধিপত্য, গোষ্ঠীগত, পারিবারিক, নিজ দেশে বিরোধের জেরসহ নানা কারণে খুনের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ক্যাম্পের মধ্যে যারা মাঝি ও হেড মাঝি রয়েছে, তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল একটু বেশি।’

উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘কিছু রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা নতুন আসা আনরেজিস্টার্ড রোহিঙ্গাদের সহ্য করতে পারে না। তারা কথায় কথায় নতুন আসা রোহিঙ্গাদের ওপর হাত তুলছে। এতে করে অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে এবং পুরো ক্যাম্পে অস্থিরতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯টি পুলিশ ক্যাম্পের অধীনে নিয়োজিত রয়েছে ১০৯০ জন পুলিশ। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবসহ সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন।’

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close