বিশ্বজুড়ে

রাশিয়ার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাশিয়ার একটি এসইউ-৩৪ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) উড্ডয়নের পরপরই এসইউ-৩৪ সুপারসনিক ফাইটার-বোম্বারটি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইয়েস্কের একটি আবাসিক ভবনের সামনে বিধ্বস্ত হয়। এতে নিকটবর্তী একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুন ধরে যায় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।

রুশ বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি জানিয়েছে, আগুন সংলগ্ন একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের প্রথম পাঁচ তলার ২০০০ মিটার স্কয়ারজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং ভবনটি পরীক্ষা করে দেখা হয়।

রাশিয়ার সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্সি কুজনিয়েৎসভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ ঘটনায় ৩ শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছে ও ১৯ জন আহত হয়েছে।

আহত ১৯ জনের মধ্যে চার জনকে ক্রাসনাদোর আঞ্চলিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের ইয়েস্ক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দেশটির জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয় হতাহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি শেষ করেছে এবং এ সময় ৬৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ও ৩৬০ জনকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, “তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলাকালে আরও ১০ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ শিশুসহ ১৩ জনে দাঁড়ায়। এ ঘটনায় আরও ১৯ জন আহত হয়েছে।”

প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের জন্য নিকটবর্তী একটি সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে এসইউ-৩৪টি উড্ডয়ন করেছিল। উড্ডয়নের পরপরই পাইলট বিমানের একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে গেছে বলে কন্ট্রোল রুমকে জানিয়েছিলেন। জরুরি নির্গমণ পদ্ধতি ব্যবহার করে পাইলট বিমানটি থেকে বের হয়ে নিজেকে রক্ষা করেন।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে এবং তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ইয়েস্কে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার এবং হতাহতদের পরিবার ও আহতদের সার্বিক সহযোগিতার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাস্থলে তদন্তকারীদের পাঠানো হয়েছে।

ইয়েস্ক শহরটি রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর কাছে, আজভ সাগরের সংকীর্ণ একটি শাখা দুই অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে সূত্র: সিএনএন

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close