বিশ্বজুড়ে

২০১৯ সালের প্রভাবশালী ১০ মুসলিম ব্যক্তিত্ব

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: জর্দানভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্য রয়াল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার প্রতিবছর ‘দ্য ওয়ার্ল্ডস ফাইভ হান্ড্রেড মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস’ শিরোনামে সারা বিশ্বের প্রভাবশালী ও খ্যাতনামা মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। ৫০০ সদস্যের তালিকা থেকে প্রথম ধাপে সর্বাধিক প্রভাবশালী ৫০ জন ব্যক্তিত্ব নির্বাচন করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে তারচেয়েও অধিক প্রভাবশালী সেরা ১০ জনকে নির্বাচন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের বিশ্বের সর্বাধিক প্রভাবশালী ১০ জন হলেন—

১. রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সারা বিশ্বের সর্বাধিক প্রভাবশালী ১০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। ২০১৬ ও ২০১৭ সালেও তিনি সেরা ১০-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন। ৬২ বছর বয়সী এরদোয়ান মূলত রাজনৈতিক প্রতিপত্তি ও আধিপত্যের বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব নির্বাচিত হয়েছেন। টানা ১১ বছর তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী থাকার পর ২০১৪ সালে দেশটির রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২. বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ

দ্বিতীয় স্থানে আছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। ১৯৩৫ সালে জন্ম নেওয়া সালমান বাদশাহ হিসেবে থাকলেও মূলত তাঁর ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদির যাবতীয় ক্ষমতার অধিকারী। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরবের বাদশাহ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

৩. রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ

জর্দানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ রয়েছেন তালিকার তৃতীয় স্থানে। ২০১৭ ও ২০১৬-এর তালিকায় তিনি ছিলেন সবার ওপরে। ৫৪ বছর বয়সী এ রাজা রাজনীতি ও ঐতিহ্যবাহী বংশের বিবেচনায় তালিকায় স্থান পেয়েছেন। রাজত্বের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি পার্শ্ববর্তী জেরুজালেমের বিভিন্ন অঞ্চলের দেখভালের দায়িত্বেও রয়েছেন।

৪. আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি

বিশ্বের প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন ইরানের ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব সাইয়েদ আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি। গত দুই বছরের জরিপতালিকায় তিনি চতুর্থ স্থানে ছিলেন। ৭৭ বছর বয়সী এই ধর্মীয় নেতা রাজনীতি ও প্রশাসনিক ক্ষমতার কারণে তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

৫. রাজা ষষ্ঠ মুহাম্মদ

মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মুহাম্মদ তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। গত দুই বছরও তিনি একই স্থানে ছিলেন। ৫৩ বছর বয়সী এ রাজা রাজনীতি, প্রশাসনিক ক্ষমতা ও দেশীয় সার্বিক উন্নয়নের বিবেচনায় প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্বদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তিনি পারিবারিকভাবে সরাসরি মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর বংশধর। ৪০০ বছর ধরে তাঁর পরিবার মরক্কো শাসন করছে।

৬. বিচারপতি মুফতি তাকি উসমানি

বিশ্ববিখ্যাত স্কলার ও পাকিস্তানের শরিয়াহ আদালতের বিচারক মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি (৭৩) আছেন তালিকার ষষ্ঠ স্থানে। গত দুই বছরও তিনি তালিকায় ছিলেন। বরেণ্য আলেম সামগ্রিক জ্ঞানে অগাধ পাণ্ডিত্য, কর্মখ্যাতি ও পারিবারিক আভিজাত্যের বিবেচনায় তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ইসলামী আইনশাস্ত্র ও অর্থনীতিতে তাঁর মৌলিক অনেক কাজ রয়েছে।

৭. সাইয়েদ আলী হুসাইন সিস্তানি

তালিকার সপ্তম স্থানে আছেন ইরানের বিপ্লবী নেতা সাইয়েদ আলী হুসাইন সিস্তানি। এর আগেও তিনি সপ্তম স্থানে ছিলেন। ৮৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তিত্ব শিক্ষাজ্ঞান ও বংশক্রমের বিবেচনায় এবারও শীর্ষ তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

৮. শায়খ হাবিব উমর বিন হাফিজ

অষ্টম স্থানে আছেন শায়খ হাবিব উমর বিন হাফিজ। তিনি ইয়ামেনের তারিমে অবস্থিত দারুল মোস্তফা সংস্থার পরিচালক। প্রিয় নবী (সা.)-এর জীবনভিত্তিক বিভিন্ন রচনাকর্ম ও আয়োজনের কারণে তিনি বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণকারী এই ব্যক্তি তালিকায় এবারই প্রথম স্থান পেয়েছেন।

৯. অধ্যাপক ড. আহমদ মুহাম্মদ তায়্যিব

২০১৭ সালে প্রথম এবং ২০১৬ সালে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিসরীয় অধ্যাপক ড. শেখ আহমদ মুহাম্মদ আত-তায়্যিব এবার নবম স্থানে রয়েছেন। প্রশাসনিক কার্যক্রম ও ক্ষমতার কারণে তিনি তালিকায় স্থান পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শায়খ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম। এর আগে প্রায় সাত বছর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও মিসরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

১০. শায়খ সালমান আওদা

তালিকার দশম স্থানে রয়েছেন সৌদির বিখ্যাত স্কলার ও শিক্ষাবিদ শায়খ সালমান আওদা। তিনি এবারই প্রথম তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তাঁর জন্ম ১৯৪২ সালের ১ জানুয়ারি। সৌদি রাজপরিবারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলায় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর তিনি একবার গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। গ্রন্থকার হিসেবে তিনি বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।

/এনএ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close