সাভারস্থানীয় সংবাদ

সাভারে চিকিৎসা অবহেলায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ

শতাব্দী রায়, নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের আগেই এক নারী মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পিত্ত থলির পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার আধাঘন্টার মধ্যে ওই নারী মারা যান।

ওই নারীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অজ্ঞতা ও অবহেলার অভিযোগ করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। কিন্তু পরে প্রভাবশালীদের চাঁপে এক লাখ টাকার বিনিময়ে অভিযোগ প্রত্যার করে লাশ বাড়ি নিয়ে যেতে বাধ্য হন স্বজনেরা।

নিহত ওই নারীর নাম রোকেয়া বেগম (৫৫)। তিনি ধামরাইয়ের কুশুরা গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী।

সাভার মডেল থানার পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পিত্ত থলির পাথর অপসারণের জন্য স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে রোকেয়া বেগমকে গত রোববার বিকেল তিনটার দিকে সাভার পৌর এলাকার ইমান্দিপুরের ইসলামিয়া ডিজিটাল ল্যাব অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। রাত সোয়া ১০টার দিকে তাঁকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। এর আধা ঘন্টার মধ্যে অচেতন অবস্থায় তাঁকে অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে বের করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এনাম মেডিকেলে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন।

ইসলামিয়া ডিজিটাল ল্যাব অ্যান্ড হসপিটালের ব্যবস্থাপক জসিম হাউলাদার বলেন, অস্ত্রোপচারের আগে অচেতন করার জন্য রোকেয়া বেগমকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। একারণে অস্ত্রোপচার না করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে এনাম মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে স্বজনদের সঙ্গে বসে মিমাংসা করা হয়।

রোকেয়া বেগমের ছেলে আজিজুল হক বলেন, চিকিৎসকের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে অস্ত্রেপচারের আগেই তাঁর মা মারা গেছেন। মায়ের মৃত্যুর পররই চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সাভার থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছানোর আগেই প্রবাবশালীদের চাঁপে আপোস করতে বাধ্য হন তাঁরা।

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, অভিযোগ পেয়ে গত রোববার রাতেই তিনি ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু এর আগেই স্বজনেরা লাশ নিয়ে বাড়ি চলে যান। এসময় হাসপাতাল বন্ধ পান তিনি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নিহতের ছেলে আজিজুল মামলা রজু না করার কথা জানান। পরে অভিযোগ তুলে নেয়া জন্য লিখিত দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close