প্রধান শিরোনাম
আজ প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক তুলে দেবেন
ঢাকা অর্নীতি ডেস্ক: ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘একুশে পদক ২০২৪’ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সরকার প্রধান রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেবেন তিনি।
একুশে পদক প্রদান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উভয়েই অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।
১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে জাতি আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করবে। সরকারের আমলে পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেওয়া টাকার পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ২০২০ সালে তা বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ‘একুশে পদক-২০২৩’ র জন্য ২১ জন বিশিষ্ট জনের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে দুজন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় দুজন, ভাষা ও সাহিত্যে চারজন এবং শিক্ষায় একজন বিশিষ্ট নাগরিক এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
ভাষা আন্দোলন বিভাগে পুরস্কারের জন্য মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়ার (মরণোত্তর) নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শিল্পকলা বিভাগে সংগীত ক্যাটগরিতে জালাল উদ্দীন খা (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যানী ঘোষ (মরণোত্তর), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্রদেব, নৃত্যকলা ক্যাটগরিতে শিবলী মোহাম্মদ, অভিনয় ক্যাটগরিতে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর, আবৃত্তি ক্যাটগরিতে খান মো.মুস্তাফা ওয়ালিদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী, চিত্রকলা ক্যাটগরিতে শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং ক্যাটগরিতে কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবা বিভাগে মো. জিয়াউল হক, রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ(মরণোত্তর) এবং শিক্ষা বিভাগে প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কার প্রদান করে। গত বছর ২০২৩ সালে ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দু’প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক দেওয়া হয়।