দেশজুড়েপ্রধান শিরোনামসাভারস্থানীয় সংবাদ

সাভারে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাভারে পূর্বশত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত পরিবহন ব্যবসায়ী মো. সাহাবুদ্দিন মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত শনিবার ( ১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হেমায়েতপুর পিকআপ স্ট্যান্ডের সামনের সড়কে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে মারাত্মকভাবে আহত করেছিলো।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সাভারের হেমায়েতপুরের বাসিন্দা নিহত শাহাবুদ্দিন (৪০) একজন পরিবহন ব্যবসায়ী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় রকিবুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল (২৮) তার বাবা কিয়াম উদ্দিন (৬০), শহিদুল্লাহ (৩০) ও জাহাঙ্গীর হোসেনের (৩৫) সাথে তাঁর বিরোধ চলছিলো। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা সাহাবুদ্দিনের নামে কিশোরগঞ্জ সদর ও আশুলিয়া থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিলো। এসকল মামলায় নির্দোশ প্রমাণ হয় সাহাবুদ্দিন। এতকিছুর পরও ক্ষিপ্ত ছিলেন ফয়সালসহ অন্যান্যরা। গত শনিবার সন্ধ্যায় তিনি হেমায়েতপুর পিকআপ স্ট্যান্ড এর সামনের সড়কে থাকাকালীন ওই ব্যক্তিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাহাবুদ্দিনের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি মাথায় ও হাতে মারাত্মক যখম হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা মোসলেম উদ্দিন মুসা এবং মো. শাহিনের উপরেও হামলা চালায় তাঁরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। মোসলেম ও শাহিন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার ভোরে মারা যান সাহাবুদ্দিন।

পুলিশ জানায়, ঘটনার রাতেই সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী পিয়ারমন সাভার মডেল থানায় রকিবুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল (২৮) তার বাবা কিয়াম উদ্দিন (৬০), শহিদুল্লাহ (৩০) ও জাহাঙ্গীর হোসেনের (৩৫) নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

নিহত শাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. সুজন বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের বিচার চাই। তাঁরা নির্মমভাবে আমার বাবাকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, শাহাবুদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় ওই রাতেই তার স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ইতিমধ্যে প্রধান আসামী ফয়সালের শ্বশুর মান্নানকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close