খেলাধুলা

সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আজ শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর এবার ঘরের মাঠে কঠিন প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। তবে এ সিরিজ দিয়েই নতুন শুরুর আশা লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

তারুণ্যের নব আহ্বান। এ যেন ভিন্ন এক বাংলাদেশের গল্প। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এ দলটাকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। জবাবটা ক্রিকেটারদের এবার ব্যাটে-বলে দেওয়ার পালা। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বলেই হয়তো বাড়তি রোমাঞ্চ। আর ডমিঙ্গোর জন্যও হয়তো শেষ সুযোগ।

শেষ দিনের অনুশীলনেও বাংলাদেশ ক্যাচ-ফিল্ডিং-ব্যাটিং নিয়ে আলাদা কাজ করেছে। নিজ শক্তি স্পিনেই হয়তো ভরসা রাখবে ম্যানেজমেন্ট। সিনিয়র-জুনিয়র কিংবা পঞ্চপাণ্ডব তত্ত্ব নয়, দলে যারা আছেন তাদের ওপরই ভরসা টিম টাইগার্স অধিনায়কের।

টাইগারদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো অনুপ্রেরণা দিচ্ছে রিয়াদকে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশের খেলা দেখে আপনারা এতো হতাশ হন কেন? আমি হতাশা দেখতে চাই না। কয়েকটা খেলা তারা চমৎকার খেলেছে। ক্রিকেট খেলছেন কখনো, মাঠে গেছেন কখনো? ব্যাট-বল ধরেছেন? ধরেননি। সে জন্য জানেন না। সবসময় যে ব্যাটে-বলে লাগবে, আর ছক্কা হবে এটা সবসময় সব অঙ্কে মেলে না।

এ সব নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ বলেন, বিষয়টি দেখেছি এবং শুনেছি। আলহামদুলিল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। তার এ কথাটা আমাদের আরও অনেক প্রেরণা জোগাবে। সত্যি কথা বলতে, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ইতিবাচক একটা কথা। আর উনি আমাদের যেভাবে অনুপ্রেরণা দেন, সমর্থন দেন, আগলে রাখেন, সেটা অবিশ্বাস্য।

অন্যদিকে বিশ্বকাপে উড়তে থাকা পাকিস্তান জানে, নিজেদের ডেরায় টিম টাইগারের থাবার ধার। তাই তো হালকাভাবে দেখার নেই কোনো সুযোগ। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও তাই মনে করছেন।

তিনি বলেন, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কখনই সহজ প্রতিপক্ষ নয়। অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে তারা সিরিজ হারিয়েছে। তাদের সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা জানি। তবে বিশ্বকাপে যেভাবে খেলেছি আশা করছি সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব।

এ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে মিরপুরের সবশেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারানোর আত্মবিশ্বাস।

বাংলাদেশ একাদশ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল হাসান শান্ত, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এবং মুস্তাফিজুর রহমান।

পাকিস্তানের একাদশ

বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, ফখর জামান, হায়দার আলি, হ্যারিস রউফ, হাসান আলি, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও শোয়েব মালিক।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close