বিশ্বজুড়েভ্রমন

সীমান্ত খুলে দিচ্ছে জাপান

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: দুই বছর পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিচ্ছে জাপান। তবে তা সব দেশের জন্য নয়। এ যাত্রা বিশ্বের প্রায় ১০০ দেশ ও অঞ্চলের পর্যটকেরা জাপানে ঢোকার অনুমতি পাবেন।

কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস ভয়াবহ সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে অন্য অনেক দেশের মতো জাপানও দুই বছর ধরে বিদেশি পর্যটকদের আগমনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে জাপানে বিদেশি পর্যটক আসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ১ জুন থেকে উঠে যাচ্ছে। ওই দিন থেকে প্রতিদিন বিদেশি পর্যটক ও ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী মিলিয়ে ২০ হাজার জন জাপানে প্রবেশ করতে পারবেন।

তবে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিলেও জাপান কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করে রেখেছে। যেমন শুরুতেই বাইরের পর্যটকেরা দলবদ্ধভাবে জাপানে প্রবেশ করতে পারবেন না। দলবদ্ধ পর্যটনের সুবিধা কার্যকর হবে ১০ জুন থেকে। এর আগে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অবশ্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের জাপান যাওয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় জাপান।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ফলে বিশ্বের ৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের পর্যটকেরা সেই দেশে ঢুকতে পারবেন। তবে এখনো কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে পর্যটকদের। সে অনুযায়ী দেশ ও অঞ্চলভেদে পর্যটকদের লাল, হলুদ ও নীল—এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হবে। এই শ্রেণীকরণের ফলে অনেক দেশের পর্যটক কোয়ারেন্টিনের নিয়ম পালন করে তবেই জাপানে ঘুরতে পারবেন।

করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ মোকাবিলার লক্ষ্যে জাপান ২০২০ সাল থেকে বিদেশি পর্যটকদের আগমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে অবশ্য এশিয়া ও বিশ্বের অন্যতম উন্নত এই দেশের পর্যটন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কারণ, ২০২০ সালে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পরে দেশটিতে পর্যটকের আগমন ৯০ শতাংশ কমেছে।

এদিকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের খবরে বেশ খুশি জাপানের ট্রাভেল এজেন্সি তথা ভ্রমণ আয়োজনকারী সংস্থাগুলো। ইন্ট্রেপিড ট্রাভেল নামক একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জিনা বেঞ্চেইখ বলেন, ‘দুই বছর ধরে বিদেশি পর্যটকদের জাপানে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তা তুলে দেওয়ায় বিদেশিদের মধ্যে জাপান ভ্রমণের আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। সীমান্ত পুরোপুরি খোলা হলে আমরা বিদেশি পর্যটকদের কাছ থেকে বুকিংয়ের প্রচুর ফরমাশ পাব বলে আমি ভীষণ আশাবাদী।’

আবার কেউ কেউ নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটন খাতের আয়ে ধস নামার দিকে ইঙ্গিত করেন। জাপানা জার্নিস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি জেমস গ্রিনফিল্ড বলেন, এ ব্যাপারে জাপান সরকার এখন বেশ সতর্ক। তারা চায়, প্রথম দিকে গাইড-সহায়তা নেওয়ার মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকেরা আসুক।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close