দেশজুড়ে

গত ২৫ দিনে রাজধানীতে গামছা পার্টি কেড়ে নিয়েছে ৪ জনের প্রাণ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ রাজধানীতে ২৫ দিনের ব্যবধানে ছিনতাইকারী গামছা পার্টি কেড়ে নিয়েছে চারটি প্রাণ। নিহতেরা ঝালমুড়ি বিক্রেতা, জুয়েলার্স শ্রমিক, টেইলারিং মাস্টার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে নিঃস্ব প্রতিটি পরিবার। চক্রের ২ সদস্য বন্দুকযুদ্ধে নিহত ও বাকীদের গ্রেপ্তারের পর চক্রটি এখন নিষ্ক্রিয় বলে দাবি পুলিশের।

আজাদ পাটোয়ারি, ঝালমুড়ি বিক্রি করে স্ত্রী তানিয়া আক্তার ও চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। থাকতেন তুরাগের ধউর এলাকায় ভাড়া বাসায়। সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে গামছা পার্টি।গত (২৯শে ডিসেম্বর) ঝালমুড়ি বিক্রির জন্য বের হয়ে আর ফেরেননি। এক মাস পর আজাদের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে শনাক্ত করেন স্ত্রী তানিয়া। চার শিশুকে নিয়ে দিশেহারা তানিয়া।

গত (১০শে ডিসেম্বর) থেকে ৬ই জানুয়ারি। ২৫ দিনে রাজধানীর ভিন্ন ভিন্ন ফ্লাইওভারে পাওয়া গেছে চারটি মরদেহ। প্রতিটি হত্যার ধরন এক। গলায় গামছা বা মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাদের।১০শে ডিসেম্বর জুয়েলার্স শ্রমিক আক্তার হোসেনের মরদেহ পাওয়া যায় কুড়িল ফ্লাইওভারে। ৩১শে ডিসেম্বর খিলক্ষেত ফ্লাইওভারে পাওয়া যায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা আজাদের মরদেহ। ৩রা জানুয়ারি কুড়িল ফ্লাইওভারে টেইলারিং মাস্টার মনির হোসেন এবং ৬ই জানুয়ারি মগবাজার ফ্লাইওভারে মেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিজানুর রহমানের মরদেহ।

ফ্লাইওভারে একের পর এক মরদেহ পাওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মিজান হত্যায় গ্রেপ্তার করা হয় নুরুল ইসলামকে। জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক তথ্য। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হয় চক্রের সদস্য জালাল ও আব্দুল্লাহসহ ৫ জন। চক্রের দুজন নাজমুল ও শাহীন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।পুলিশ বলছে, এই চক্রের কোনো অস্তিত্ব এখন আর নেই।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, একটি ঘটনার রহস্য বের করতে আমরা মোট চারটি ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। যে চক্রটি ধরা পড়েছে তারা সিএনজিতে ছিনতাই করে গামছা পেছিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকে। এই চক্রটি আটক হওয়ার পরে এসব ঘটনা আর হচ্ছে না। এই চক্রের সবাইকেই আমরা ধরতে সক্ষম হয়েছি।

সিএনজিতে যাত্রী হিসেবে তুলে ছিনতাই। বাঁধা দিলে হত্যা করত এই চক্র।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close