বিশ্বজুড়ে

করোনা শনাক্ত করতে পারছে না চীনের করোনা কিট!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মহামারি করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৫৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছে ২৫ হাজার ৪২ জন। এরইমধ্যে ২০০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে চীন থেকে তড়িঘড়ি করে নিয়ে যাওয়া কিট ঠিকঠাক কাজ করছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্পেনের জীববিজ্ঞানীরা।তারা বলছেন, যেসব র‌্যাপিড টেস্ট কিট নেয়া হয়েছে সেগুলো পজিটিভ কেস সঠিকভাবে ধরতে পারছে না।

জীববিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ওইসব কিটে করোনাভাইরাসের যে পরীক্ষাগুলো করা হয়েছে, সেগুলোতে মাত্র ৩০ শতাংশ সংবেদনশীলতা (সেনসিটিভিটি) ছিল। এর অর্থ মাত্র ৩০ শতাংশ বার তারা ভাইরাস আক্রান্ত লোককে শনাক্ত করতে পেরেছে।

তাদের গবেষণার বরাত দিয়ে স্প্যানিশ দৈনিক এলপাই জানিয়েছে, মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের মতানুসারে, ইনফ্লুয়েঞ্জার (ভাইরাসজনিত রোগ) ক্ষেত্রে র‌্যাপিড টেস্ট কিটে ৮০ শতাংশ সেনসিটিভিটি থাকতে হয়। সে হিসেবে স্প্যানিশ বিজ্ঞানীরাও করোনা শনাক্তকরণে অন্তত ৮০ শতাংশ সেনসিটিভিটি আশা করেছিলেন। কিন্তু চীনের ‘বায়োইজি’ নামে একটি বায়োটেকনোলজি কোম্পানির এই কিটগুলো বিফল প্রমাণ হচ্ছে।

সাধারণত র‌্যাপিড টেস্ট কিটে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফল মিলে যায়, তবে অন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলোর মতো এই পরীক্ষার ফল পুরোপুরি সঠিক হয় না। করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানি এই টেস্ট কিট উৎপাদন করছে। উৎপাদন করছে চীনা কোম্পানিগুলোও।

উহান থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস সামলাতে চীন যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে প্রেরণা পেয়ে স্পেনও সেখানকার প্রতিষ্ঠান ‘বায়োইজি’ থেকে র‌্যাপিড টেস্ট কিট নিয়ে আসে। কিন্তু সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দিশেহারা স্প্যানিশ বিজ্ঞানীরা এখন চোখে যেন অন্ধকার দেখছেন।

এলপাই জানিয়েছে, ওই গবেষণার ফলে স্প্যানিশ সোসাইটি অব ইনফেকশাস ডিজিজেস অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজির তরফ থেকে কিটগুলো আর ব্যবহার না করার সুপারিশ যেতে পারে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীদের অন্য কিট ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হতে পারে। সেসব টেস্টের ফল পেতে অবশ্য অনেক সময় লাগে।

স্পেনের হেলথ-ইমার্জেন্সিস কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের পরিচালক ফার্নান্দো সাইমন বলেন, ওইসব র‌্যাপিড টেস্ট কিটে স্পেন ৯ হাজার পরীক্ষা করেছে, যেখানকার ফলাফল সন্তোষজনক ছিল না, তাই আমরা সেগুলো ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এ বিষয়ে সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র জানান, বায়োইজির সেসব কিটের বদলে নতুন টেস্ট কিটের অনুমোদন দেবে সরকার।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close