আমদানি-রপ্তানীকৃষিদেশজুড়ে

হিমসাগর আম যাচ্ছে ইউরোপে

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: সাতক্ষীরার হিমসাগর আম ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ডেনমার্কসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা থেকে রফতানি হচ্ছে ১০০ টন আম। এর মধ্যে রয়েছে গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম।

এবার রফতানিজাত আম প্রতি মণ ৩ হাজার ৫০০ টাকা হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশীয় বাজারে যার মূল্য ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। আম বাগান মালিকদের দাবি, আরো বেশি পরিমাণে রফতানি হোক সাতক্ষীরার আম।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল গ্রামের আমচাষী রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে নিজের ও লিজসহ ২৫টি বাগানের আম বিক্রি করছেন। এর মধ্যে রফতানিযোগ্য বাগান রয়েছে ১০টি। সেখান থেকে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের লোকজন আম নিয়ে যাচ্ছে। রফতানিজাত হিমসাগর আম প্রতি মণ ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এসব আম অভ্যন্তরীণ বাজারে ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রফিকুল ইসলাম আরো জানান, জেলায় যে পরিমাণ হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি আম বাগান রয়েছে সে তুলনায় রফতানির পরিমাণ খুবই কম। আগামীতে সাতক্ষীরা জেলা থেকে আরো বেশি আম যাতে রফতানি করা যায় সে দাবি করেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম আবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টন। আমচাষী রয়েছেন ১৩ হাজার। এর মধ্যে কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষী ৫০০ জন। এসব চাষীর বাগানের আম রফতানি করা হবে।

আম রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান জিয়েল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরিফ হায়দার বাগান থেকে বিদেশে রফতানির জন্য হিমসাগর আম সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, আম সংগ্রহের জন্য সরাসরি বাগানে এসেছি। প্রথম দিনে ৫০০ কেজি আম সংগ্রহ করতে পেরেছি। বায়ারের দাবি ছিল ১০০০ কেজি। তবে বাগানে আমের সাইজ ছোট হওয়ায় সংগ্রহ করা হয়নি। বায়ারের দাবি, চারটি আম হবে ওজনে এক কেজি। আমি এ আম বায়ারের মাধ্যমে পাঠাচ্ছি লন্ডনে। আগামীতে আরো এক হাজার কেজি আম সংগ্রহ করব।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, সারা দেশ থেকে এ বছর ৬০০ টন আম রফতানি হবে। তার মধ্যে সাতক্ষীরার আম থাকবে ১০০ টন। এসব আম ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স ও ডেনমার্কে রফতানি হবে। গত ১৯ মে আনুষ্ঠানিকভাবে রফতানিজাত আম পাড়া উদ্বোধন করা হয়েছে। বিদেশে আম রফতানির জন্য ৫০০ চাষীকে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নির্ধারিত এসব বাগান থেকেই আম রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
/একে

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close