দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের দুই বছর কারাদণ্ড

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার (২০ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় দেন।

মামলার অন্য চার আসামি হলেন জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার।

হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন রায়ের সময় উপস্থিত না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বাকি তিন জনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন এই দিন ধার্য করেন।

যুক্তিতর্ক চলাকালীন হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ বাকি আসামিদের পক্ষে আদালতকে আইনজীবী বলেন, তার মক্কেলদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ এবং তার মক্কেলদের খালাস দেওয়ার আবেদন করেছেন।

যদিও রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে বলেছেন, তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং মামলায় অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন। এর আগে আদালত মামলায় বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গত বছরের ১৮ এপ্রিল মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার বাদী তুহিন অভিযোগ করেন জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলানা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইড) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন তোফাজ্জল হোসেন দণ্ডবিধি ৪২০/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close