দেশজুড়ে

নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: নারীদের ক্ষমতায়নে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আমলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল পর্যন্ত নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার ঘটেছে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে অবদান রাখায় গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ, প্ল্যানেট ফিফটি ফিফটি চ্যাম্পিয়ন, এজেন্ট অব চেঞ্জসহ নানাবিধ সম্মাননা অর্জন করেছেন শেখ হাসিনা।

নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয় এমন উপলব্ধি থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। উপহার দিয়েছিলেন বাহাত্তরের সংবিধান। যেখানে বলিষ্ঠভাবে নারী-পুরুষের মর্যাদা সমুন্নত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতার দর্শন অনুসারে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের নতুন ধারা সূচিত করেন।

নারী শিক্ষা নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা এবং সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সবক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের বিনা বেতনে শিক্ষার ব্যবস্থাও করেন শেখ হাসিনা। যে কারণে দেশে নারী শিক্ষার হার ৫০ দশমিক ৫৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত নারীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।

দুস্থ, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য ভিজিএফ, ভিজিডি, দুস্থ ভাতা, বয়স্কা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ও গর্ভবতী মায়েদের ভাতা, অক্ষম মা ও স্বামী পরিত্যাক্তাদের জন্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। সর্বক্ষেত্রে সন্তানের পরিচয় ও নিবন্ধনে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নামও যুক্ত করা হয়েছে তার আমলেই। এছাড়া নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কোনও জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা এসএমই ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন করে। জাতীয় সংসদের স্পিকার পদে একজন নারীকে নির্বাচিত করেন। শেখ হাসিনাই পথম তার মন্ত্রীসভায় প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নারীকে দায়িত্ব দেন। সংসদ উপনেতাও হন একজন নারী। তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, প্রথম সংখ্যালঘু নারী সেনাবাহিনীর মেজর করেছেন। স্থানীয় সরকার পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে ইউনিয়ন পরিষদে নারী জনপ্রতিনিধিকে সরাসরি ভোটে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। বাল্যবিবাহ রোধ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কঠোর আইন করেছে সরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close