দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে সাহেদ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিকে, গত ৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ আদালতে আসামি সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত সাহেদের উপস্থিতিতে ১০ আগস্ট শুনানির এদিন ধার্য করেন।

২৮ জুলাই সাহেদকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত ৫ আগস্ট তার গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। কিন্তু সাহেদ অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় এদিন গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয়নি।

এর আগে ২৭ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন। পরের দিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলে ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ থেকে ২১ জানুয়ারি সময়ে আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান কর্পোরেট শাখার এক কোটি টাকা (যা সুদাসলসহ ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্থিতি দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইব্রাহিম খলিল।

এর আগে গত ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ১৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণার মামলায় সাদেহের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় তিন ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার মামলায় সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই দিন সাতক্ষীরার অস্ত্র মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close