আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

আশুলিয়ায় শ্রমিককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, কারখানা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আশুলিয়ায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় এক শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

কারখানার কর্মকর্তাকে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ওই শ্রমিকের লিখিত অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার সাকতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আশুলিয়ার বেরন ছয়তলা এলাকায় নুরুজ্জামানের ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় ইয়াগি বাংলাদেশ গার্মেন্টস লিমিটেডে ‘অ্যাডমিন অফিসার’ হিসেবে কর্মরত।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর ওই নারী আশুলিয়ার ইয়াগি বাংলাদেশ গার্মেন্টসে হেলপারের চাকরি নেন। ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে খাবারের জন্য বিরতি দিলে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে তিনি নিজেও খেতে যাচ্ছিলেন।

এ সময় কারখানার এক নারী এসে রক্ত লাগবে জানিয়ে তাকে নিচতলার একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও দুজন ছিলেন।

রক্ত নেয়ার কথা বলে ইনজেকশন দিয়ে তাকে অচেতন করা হয়। পরে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে এলে ওই নারী বাড়িতে চলে যান এবং বাবা-মাকে বিষয়টি খুলে বলেন।

এর পর বাবা-মাকে নিয়ে কারখানায় গেলে নিরাপত্তাকর্মী ও জাহাঙ্গীর আলম তাদের কারখানার ভেতর ঢুকতে না দিয়ে গালাগাল করে তাড়িয়ে দেন।

মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে তারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে কর্মবিরতির মাধ্যমে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) জামাল সিকদার বলেন, একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক তাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে লিখিত দেন। মঙ্গলবার রাতেই সেটি মামলা হিসেবে নেয়া হয়। আটক করা হয় জাহাঙ্গীরকে। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close