দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

আজ রাত থেকে লকডাউন হচ্ছে মানিকগঞ্জের ৭ এলাকা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ মানিকগঞ্জের ৩ টি উপজেলার ৭টি এলাকায় রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রাত ৮ টা থেকে ওই সকল এলাকায় লকডাউন কার্যকর হবে। রেডজোনে এই লকডাউন চলবে আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত। সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক এম এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলসহ প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্যবিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা রেডজোন এলাকা পরিদর্শন করেন। সেইসাথে স্থানীয় জনগণের মাঝে লকডাউনের নির্দেশনা প্রচার করা হয়।

রেডজোন এলাকাগুলো হচ্ছে- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম দাশড়া, উত্তর সেওতা ও গঙ্গাধরপট্টি। ঘোষণা অনুযায়ী জেলা শহরের শহীদ রফিক সড়ক, গার্লস স্কুল সড়ক, গঙ্গাধরপট্টি থানা রোড, খালপাড় থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের আগ পর্যন্ত শহীদ স্মরণী ও মানিকগঞ্জ বাজার এলাকা থাকবে রেডজোনের আওতায়। এছাড়া, রেডজোনের আওতায় পড়েছে সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ও সাটুরিয়া ইউনিয়ন এবং সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়ন ও সিংগাইর পৌরসভা।

নির্দেশনা অনুযায়ী রেডজোন ঘোষিত এলাকার কোন ব্যক্তি ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। এই এলাকার কেউ বাইরে কিংবা বাইরের কেউ এই এলাকায় আসা যাওয়া করতে পারবেন না। সকল ধরণের শপিং মল, দোকানপাট বন্ধ থাকবে। রেডজোন এলাকায় অনুমোদনহীন কোন যানবাহন চলাচল করতে পরবে না। মসজিদে নামাজের সময় ইমাম মোয়াজ্জিনসহ ৫ জন এবং জুমা‘র নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন। যথারীতি আওতামুক্ত থাকবে সাংবাদিকসহ জরুরী সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারী ও ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানায় কমর্রত ব্যক্তি ও তাদের বহনকারী গাড়ী।

উল্লেখিত রেডজোন ঘোষিত এলাকাগুলিতে আরোপিত আইন বাস্তবায়নে তিনটি উপজেলায় গঠন করা হয়েছে ভিজিলেন্স টিম।

সিংগাইর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হযেছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামানকে, সাটুরিয়া উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হযেছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহীনা আকতার এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ভিজিলেন্স টিমের প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: নাদিরা আখতারকে।

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, আদেশে বর্ণিত সকল আইন কঠোরভাবে পালন করা হবে। ঘোষিত এলাকাগুলির চারপাশে বেষ্টনির মাধ্যমে আটকে দেওয়া হবে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, আনসারসহ বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটির সাথে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ দোকান থাকবে। কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঔষধ পৌঁছে দিবে।

রেডজোন ঘোষিত এলাকায় নির্দেশিত আইনমান্য করে চলতে এবং আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close