আশুলিয়াপ্রধান শিরোনামস্থানীয় সংবাদ

আশুলিয়ায় পারভীনকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৪ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় জঙ্গলে পারভীন আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে র‍্যাব ৪ (সিপিসি-২) এর একটি দল। আসামীদের আশুলিয়ায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তাদের পারভীন হত্যাকান্ডের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামীদের আশুলিয়া থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতরাতে আশুলিয়ার খেজুরটেক এলাকা থেকে আসামীদের আটক করে র‍্যাব। এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নিহতের ছেলে ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছিল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার মোজাম্মেল হকের ছেলে সোলেমান হোসেন (৩৬), উল্লাপাড়া থানার মাসুদ রানার ছেলে সাব্বির ইসলাম (২২), বেলকুচি থানাররেফাত আলীর ছেলে আলামিন (২৭) এবং ফরিদপুরের মনিরুজ্জামান (৩৫)। তারা আশুলিয়ায় ভাঙ্গারী ব্যবসা করত।

র‌্যাব জানায়, নিহত পারভীন ভাঙ্গারীর ব্যবসার জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা দাদন নিয়েছিল। তারমধ্যে আলমিন ৬০ হাজার টাকা ও মনিরুজ্জামান ১১ হাজার টাকা দিয়েছিল। ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ায় সেই টাকা সময় মত দিতে না পারায় তাদের সাথে পারভীনের বিভিন্ন সময় বাকবিতন্ডতা হয়। ক্ষোভের জের ধরে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে আলমিন ও মনিরুজ্জমানের সাথে আরো দুই সহযোগি সাব্বির ও সোলায়ামনসহ ৪ জন কৌশলে পারভীনকে পরিত্যক্ত ভবন নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে হত্যা করে পারভীনের বিবস্ত্র লাশ পাশের জঙ্গলে ফেলে পালিয়ে যায়।

নিহত পারভীন আক্তার লক্ষীপুর জেলার সদর থানার ঘনে শ্যামপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। সে আশুলিয়ার খেজুরটেক এলাকায় প্রায় ৮ বছর ভাড়া থেকে ভাঙ্গারীর ব্যবসা করত।

এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আর্থিক লেনদেন জের ধরে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আসামীদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এরআগে, মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আশুলিয়ার নলামে জঙ্গল থেকে পারভীনের অর্ধনগ্ন মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close