কৃষিশিল্প-বানিজ্য

ইলিশ নেই, বেড়েছে অন্য মাছের দাম

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ সপ্তাহের ব্যবধানে ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় অন্যসব মাছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর মাছের দর বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

অন্যদিকে মাছের সঙ্গে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে গরু-খাসির মাংস, চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের বাজার।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, খিলগাঁও রেলগেট বাজার, কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় এসব বাজারে প্রতিকেজি (আকারভেদে) রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, মৃগেল ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙাস ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

এক সপ্তাহ আগে এসব বাজারে প্রতিকেজি (আকারভেদে) রুই বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১০০ টাকা, কই ১৭০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি বাগদা চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গলদা ৪৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৮৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৫০০ থেকে ৯৫০, বাইন (নদী) ৫০০ থেকে ৯৫০ টাকা, বাইলা ৪৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, কাচকি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, মলা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পুঁটি (দেশি) ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে প্রচুর ইলিশের চাহিদা রয়েছে, যেহেতু ইলিশ নেই তাই ক্রেতারা অন্য মাছের (সাদা মাছ) প্রতি ঝুঁকছেন। তবে সাদা মাছের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় মাছের দাম বাড়তি রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, বাজারে ইলিশের ব্যাপক চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ ছিলো পর্যাপ্ত। এখন ইলিশ না থাকায় সাদা মাছের প্রতি সবাই ঝুঁকছেন। তবে সরবরাহ কম থাকায় এসব মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।

তবে তার যুক্তির সঙ্গে একমত নন ক্রেতারা। ফাহিম নামে এ বাজারের এক ক্রেতা বলেন, ইলিশের সঙ্গে অন্য মাছের তুলনা করে দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ হতে পারে না। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বেশি মুনাফা লাভের আশায় এ সময়টাকে বেছে নেন। মাছের দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close