দেশজুড়ে

ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল নিষিদ্ধসহ ২৮ দফা প্রস্তাবনা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ অথবা ১২ই আগস্ট পালিত হবে ঈদুল আজহা। আর ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে মোটরসাইকেল, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, নসিমন-করিমন, ইজবাইক, অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ করাসহ ২৮ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রবিবার (২৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ধীরগতি ও দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন চালুর দাবি জানান।

তিনি তার দেয়া বিবৃতিতে বলেন, ‘বিগত ঈদুল ফিতরের মতো এবারও ঈদের লম্বা ছুটি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগিয়ে রেশনিং পদ্ধতিতে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা গেলে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করে সংগঠনটি।

এ লক্ষ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৮ দফা প্রস্তাবনা অনুসরণের দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো:

১. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিক্সা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ করা।

২. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা।

৩. গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প-কারখানায় রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা।

৪. টোল প্লাজার সবক’টি বুথ চালু করা ও দ্রুত পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা।

৫. মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী হাটবাজার উচ্ছেদ করা।

৬. মহাসড়কের ওপর ও মহাসড়কের আশেপাশে অস্থায়ী কুরবানির পশুরহাট বন্ধ করা।

৭. মহাসড়কে পশুবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজী বন্ধ করা।

৮. দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার ও উল্টোপথে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা।

৯. বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করা।

১০. গতি নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ করার ব্যবস্থা নেয়া।

১১. টিকিট কালোবাজারী বন্ধ করা।

১২. ই-টিকেটিং চালু করা এবং অগ্রিম টিকিটের নামে হয়রানি বন্ধ করা।

১৩. গণপরিবহণ সংকট সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১৪. সুনির্দিষ্ট কারণ বা অভিযোগ ছাড়া ঈদযাত্রার মাঝপথে যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেকিং বন্ধ করা।

১৫. বাস টার্মিনাল ও সড়কে অজ্ঞানপাটি, মলমপার্টি ও ছিনতাইকারী মুক্ত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

১৬. মহাসড়ক অবৈধ দখল ও পার্কিংমুক্ত করা।

১৭. অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা।

১৮. অযান্ত্রিক যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রীবহন নিষিদ্ধ করা।

১৯. ঈদের আগে ও পরে সড়কে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজী বন্ধ করা।

২০. লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক ঈদযাত্রায় নিষিদ্ধ করা।

২১. বিরতিহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ করা।

২২. জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুটপাত, জেব্রাক্রসিং, পথচারী পারাপার সেতু, আন্ডারপাস, ওভারপাস দখলমুক্ত করে যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখা।

২৩. ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

২৪. ফেরীঘাট, লঞ্চঘাট, নগরীর প্রবেশমুখ ও সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন সমূহে দ্রুত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা।

২৫. দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত উদ্ধার ও আহতদের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা।

২৬. অপ্রত্যাশিত যানজটের কবলে আটকে পড়া যাত্রীদের ব্যবহারের সুবিধা রাখা।

২৭. জাতীয় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন, মিডিয়া গ্যাপ ও বাঁকে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা রাখা।

২৮. সড়কে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ঈদের ছুটি বাতিল করা।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close