দেশজুড়ে

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র কোরবানি হবে ১ কোটি ২১ লাখ পশু

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: আগামী মাসে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ১ কোটি ২১ লাখ পশু কোরবানি দেয়া হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানিয়েছে, এ সংখ্যা বিগত বছরের থেকে ৩৩ শতাংশ বেশি।

বিগত দু-বছরে করোনার প্রকোপে কোরবানির ঈদ ঘিরে খামারিদের ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এবার করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে আসায় আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। এ জন্যই গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে উঠবে অধিকসংখ্যক পশু।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপব্যবস্থাপক জিনাত সুলতানা বলেন, ‘গত বছর ৯০ লাখ ৮৩ হাজার পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গরু-মহিষ ছিল ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ও ছাগল-ভেড়া ছিল ৫০ লাখ ২৮ হাজার। মোট ৪৬ হাজার কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু মহামারির মরণ থাবা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে, আমরা আশা করছি, এ বছর বিক্রি আরও বাড়বে। ধারণা করা যাচ্ছে, এবারের ঈদুল আজহায় ১ কোটির ওপরে পশু বেচাকেনা হবে। ব্যবসা হবে ৫০ হাজার কোটি টাকার।’

গবাদি পশু বিক্রির সবচেয়ে লাভজনক বাজার বিবেচনা করা হয় ঈদুল আজহার মৌসুমকে। এবার কোরবানির উদ্দেশ্যে হাটে উঠবে ১ কোটি ২১ লাখ পশু। এর মধ্যে গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৬ লাখ ১১ হাজার ও ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৫ লাখ ১১ হাজার।

কোরবানির হাট সামনে রেখে ইতোমধ্যে ৪২ লাখ ৪০ হাজার গরু-মহিষ ও ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ছাগল-ভেড়া মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ থেকে সিংহভাগ গবাদি পশু সরবরাহ করা হয়ে থাকে। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা যায়, ‘এ বছর ১ লাখ ৭২ হাজার ৭২৯টি গরুর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ৩২৫টি গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয়েছে।’

এদিকে গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবারের কোরবানির বাজারে গবাদি পশুর দামও হবে আকাশচুম্বী। খামারিরা জানান, দেড় লাখ টাকা দামের একটি গরুর পেছনে কম করে হলেও ৭০-৭৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

খরচের কথা বলতে গিয়ে পাবনা এলাকার খামারি সিরাজুল বলেন, মাঝারি সাইজের একটি গরুর পেছনে প্রতিদিন ২০০-২৫০ টাকা ও বড় সাইজের একটি গরুর পেছনে ৩০০-৩৫০ টাকা খরচ হয়। চলতি বছর গোখাদ্যের দাম বেড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ।

বর্তমানে প্রতি বস্তা গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা, ডালের খৈল ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৮৫০ টাকা ও ধানের ভুসি বিক্রি হচ্ছে বস্তাপ্রতি ৭০০ টাকা।

খাবারের দামের ব্যাপারে খামারিরা জানান, এক বছরের মাথায় গোখাদ্যের দাম বস্তাপ্রতি ২০০-৪০০ টাকা বেড়ে গেছে। এতে স্বভাবতই বাড়বে কোরবানির পশুর দাম। তবে বেশি দামে পশু বিক্রি হবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কায় আছেন খামারিরা।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close