বিশ্বজুড়ে

ধর্মীয় পরিচয় ছাড়াই বড় হবে শিশু!

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ধর্মীয় ভেদাভেদহীন একটা সমাজের স্বপ্ন দেখেছেন তারা। মানবতাকেই একমাত্র ধর্ম মেনেছেন। তাই সদ্যোজাত সন্তানকে ধর্মীয় পরিচয় ছাড়াই বড় করে তুলতে চান মুদাসসার হোসেন এবং তাঁর স্ত্রী হাবিবা। পশ্চিমবঙ্গের জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতের বাসিন্দা এই দম্পতি।

জানা গেছে, সম্প্রতি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় তাঁদের। এরপর জন্মের প্রশংসাপত্রে কোনও পদবি না রাখার জন্য আবেদন জানান ওই দম্পতি। তাঁদের ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়ে পদবি ছাড়াই ছেলে অক্ষরের জন্মের প্রশংসাপত্র দিয়েছে পঞ্চায়েত।

মুদাসসার ও হাবিবা দুজনেই থিয়েটার কর্মী। নিজেদের একটি থিয়েটারের দল রয়েছে তাঁদের। গত ২১ নভেম্বর পুত্র সন্তানের জন্ম দেন হাবিবা। সন্তানকে ধর্মীয় পরিচয়ের বাইরে রাখার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল দম্পতির। চেয়েছিলেন প্রথম থেকে খাতায় কলমে পদবি ছাড়াই বেড়ে উঠুক ছেলে। ছেলের জন্মের পর তাই সেই মতো আবেদন করেন স্থানীয় পঞ্চায়েতে।

মুদাসসার জানান, তাঁর পরিবারে বরাবরই মানবতার চর্চা হয়। এমনকি কোথাও লিখিতভাবে ধর্মের কথা উল্লেখ করতে হলে মানবতা লেখাই পছন্দ করেন তাঁরা। এর আগে তাঁর দুই ভাইপোর জন্মের সময়েও পদবি না রাখার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নানা কারণে সেই সময় তা হয়ে ওঠেনি। ছেলের ক্ষেত্রে তাই আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন তাঁরা। অক্ষরকে মানবতার শিক্ষায় বড় করে তোলাই আপাতত লক্ষ দম্পতির।

মুদাসসার বলেন,আমাদের একান্নবর্তী পরিবার। গোটা পরিবারেই ধর্মীয় চর্চার কোনও ঠাঁই নেই। আমরা রবি ঠাকুরের জন্মদিন পালন করি ধুমধাম করে। আমাদের বাড়িতে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় না। মানবতাকেই একমাত্র ধর্ম বলে মনে করি। ছেলেকেও সেই ভাবেই বড় করব।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close