শিক্ষা-সাহিত্য

এসএসসি’র ফরম পূরণে এসে জানলো জেএসসিতে ফেল

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দরিদ্র পরিবারের সন্তান ফারজানা আক্তারের (১৬) এসএসসি পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সকল আনুষ্ঠানিকতার পর এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের দিন ফারজানা জানতে পারে জেএসসি পরীক্ষায় তার দুই বিষয়ে ফেল রয়েছে। ঘটনার পর ফারজানার পরিবার, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না পেরে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ন্যায় বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ফারজানা। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের গেরামারা গোহাইলবাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) অসহায় ছাত্রী ফারজানা ও তার পরিবার এ অভিযোগ করেছে।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ফারজানা ২০১৭ সালে গোহাইলবাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে একই বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। নবম ও দশম শ্রেণিতে দুই বছর পড়াশোনার পর এ বছর ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকল বিষয়ে পাস করে।

এদিকে ইতোমধ্যে ফারজানার নিকট থেকে ফরম পূরণের জন্য চার হাজার ২৫০ টাকা জমাও নেওয়া হয়েছে। ফরম পূরণের শেষ দিনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৭ সালের জেএসসি পরীক্ষায় ফারজানার দুই বিষয়ে ফেল রয়েছে। ঘটনা শুনে হতভম্ব ফারজানা ও তার পরিবার। মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেছে ফারজানা। কান্নায় ভেঙ্গে পরে আত্মহত্যার মত পথ বেঁছে নেবে বলে তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে ফারজানা। মেয়েকে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে তার পরিবার।

গেরামারা গোহাইলবাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফারজানা ২০১৭ সালে জেএসসি পরীক্ষায় দুই বিষয়ে ফেল করেছে। লোক লজ্জার ভয় এবং নিরক্ষর বাবা মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বাড়িতে বলেছিল আমি জেএসসি পাস করেছি। অন্য নাম দিয়ে হয়তো নবম দশম শ্রেণিতে পড়ে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ছাত্রী ও তার পরিবার নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বিদ্যালয়ে এসে ঘটনা মীমাংসা করে গেছে।

জেএসসিতে ফেল করা ছাত্রী কিভাবে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শ্রেণি শিক্ষকের ভুলক্রমে হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অপিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ছাত্রীর লিখিত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close