দেশজুড়ে

শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের বাধা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনার বিচারের দাবিতে ঢাকায় শিক্ষার্থীদের গণ–অবস্থান ও মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা জানান।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়ে গণ–অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের মধ্যে বামধারার কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের সমর্থক শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। সোয়া একটার দিকে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা কালো পতাকা মিছিল বের করেন। মিছিলটি শাহবাগ থেকে টিএসসি হয়ে আবার শাহবাগ হয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে রওনা দেন। এরপর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। এ সময় ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশের সড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করার প্রতিবাদে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। দুপুর দুইটার দিকে সড়ক ছেড়ে দিয়ে তাঁরা শাহবাগে চলে যান।

ছাত্র ইউনিয়নের কলাবাগান থানার সদস্য সাদিয়া ইমরোজ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। এ সময় ছাত্র ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর থানার সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আসমানী আশাসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।

শাহবাগে ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ লেখা ব্যানার নিয়ে গণ-অবস্থান চলে। অবস্থানকারীরা ‘ধর্ষক লীগের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের হবে না’,‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘যে রাষ্ট্র ধর্ষক পুষে, সে রাষ্ট্র ভেঙে দাও’, ‘ধর্ষকদের কারখানা, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘পাহাড় কিংবা সমতলে, লড়াই হবে সমানতালে’ স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা গণ-অবস্থান থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান।

গণ-অবস্থানে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণের ঘটনার কারণ যতটা না জৈবিক বিকার, তার চেয়ে ক্ষমতার বিকার।

পাহাড়ে, সিলেটের এমসি কলেজে, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ও বেগমগঞ্জে যেসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তাতে দেখা গেছে ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্যই জৈবিক বিকার ঘটছে। দেশে গণতন্ত্রহীন ক্ষমতার কারণেই একের পর এক ধর্ষণ ঘটছে।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close