দেশজুড়ে

করোনা হয়নি শুনে বিরিয়ানি খাওয়ার আবদার কিশোরের

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ শরীরে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঘটেনি-এমন রিপোর্ট জেনে বিনিয়ানি খাওয়ার আবদার জানালো কিশোর সুমন। তবে চিকিৎসকরা তার সব আবদার রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিলে অতি আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কিশোরের শরীরের নমুনায় করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে আইইডিসিআর থেকে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে এ রিপোর্ট পৌঁছায়। পরে তা পৌঁছে দেয়া হয় এ হাসপাতালে। এতে স্বস্তি ফিরেছে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্টাফ ও রোগীদের মধ্যে।এর আগে গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে শহরে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত ভাসমান অবস্থায় ঘোরাফেরা করা এ কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, করোনাভাইরাস সন্দেহে যে কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল-তার শরীরের নমুনার পরীক্ষা রিপোর্ট দিয়েছে আইইডিসিআর। এতে করোনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, চাঁদপুরে এখন ১৩৭ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এছাড়া ১০৫ জনের ১৪ দিন শেষ হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজাউদৌলা রুবেল জানান, করোনাভাইস সন্দেহে ভর্তি হওয়া রোগীর শরীরের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ায়- স্বস্তি ফিরেছে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্টাফ ও রোগীদের মধ্যে। কারণ এ নিয়ে গত দু’দিন হাসপাতালে আসা রোগীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করেছিল। তারপরও আমরা ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি।ডা. রুবেল আরও জানান, কিশোরের শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছে। জ্বর, সর্দি ও কাশি কমে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদরের আবুল হোসেনের ছেলে সুমন মিয়া (১৬) রাজধানীর সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে বোতলজাত পানি বিক্রি করতো। গত ১৯ মার্চ সেখান থেকে অসুস্থতা নিয়ে লঞ্চযোগে চাঁদপুরে আসে। এখানে কোথাও কোনো আশ্রয় না পাওয়ায় গত ৯ দিন জ্বর সর্দি ও কাশি নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়ায় সে। পরে গত শুক্রবার স্থানীয় এক গণমাধ্যমকর্মীর চোখে পড়ে সুমন। এমন পরিস্থিতিতে তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন অনেকেই ধারণা করেছিলেন কিশোরটি করোনাভাইসে আক্রান্ত।

অন্যদিকে হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন সুমন নামে এ কিশোরের কাছে পৌঁছে যায় তার সুস্থতার সংবাদ। এ সময় অতি আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়ে। চিকিৎসকদের কাছে বিরিয়ানি খাওয়ার অব্দারও করে সে। এতে তার সব আব্দার রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়।

/এন এইচ

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close