কৃষিশিল্প-বানিজ্য

কৃষকদের থেকে ১০৪০ টাকা মণে ধান কিনবে সরকার

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ দেশের সর্বত্র এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু মাঠের সোনালি ধান কৃষকের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে বলা চলে। ফলন বাড়লেও বাজারে ধানের দাম কম। ধান বিক্রি করতে গিয়ে উৎপাদন খরচই পাচ্ছে না কৃষক। কোথাও কোথাও জনবল সংকটে ধান কাটা হচ্ছে না। চড়া মজুরিতেও কোথাও কোথাও কিষান মিলছে না বলে জানা গেছে। অঞ্চলভেদে এবার ধান চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে অর্ধেক দামও মিলছে না। ফলে হতাশ কৃষক।

কৃষকরা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না এমন অভিযোগের পরে কৃষকদের স্বার্থে জরুরী উদ্যোগ নিচ্ছে কৃষি ও কৃষকবান্ধব সরকার।এমতাবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে খাদ্য বিভাগ। কৃষকদের থেকে প্রতি মণ ধান কিনবেন ১০৪০ টাকা দরে। এর ফলে স্বস্তি ফিরছে কৃষকদের মাঝে।

জানা যায়, খাদ্য বিভাগ ১৪৪০ টাকা মণ দরে সিদ্ধ চাল এবং ১৪০০ টাকা মণে আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে চলতি বোরো মৌসুমে।খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলায় ২৬১২ মেট্রিক টন ধান, ১৭ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৬১৬ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। খাদ্য বিভাগ সূত্র আরো জানিয়েছে, চাল সংগ্রহের জন্য ৫৯৬ জন মিলার ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে খাদ্য বিভাগের সাথে। এরমধ্যে ১৮ জন অটো রাইস মিল এবং ৫৭৮ জন হাসকিং মিল মালিক রয়েছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ১৩০০ টাকা মণে ধান কেনার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি। কিন্তু সরকার ১০৪০ টাকা দরে কিনছে তাও ভালো। আগে তো আমরা ৬৫০ টাকা মণে বিক্রি করছি।

তারা আরো জানান, সরকার ১০৪০ টাকা দরে ধান কেনার যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে আমরা খুশি হয়েছি। আমরা এতদিন ন্যায্য দাম পেতাম না। তাই কৃষি কাজ বাদ দিয়ে অন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম।কিন্তু সরকার পাশে দাঁড়িয়েছে তাই এখন থেকে কৃষি কাজই করব।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন অভি জানান, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করা হবে। এক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকা অনুসরণ এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদন কৃত কৃষকরা সরাসরি ধান দিতে পারবেন খাদ্য গুদামে। ধান প্রতি কেজি ২৬ টাকা, সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা এবং আতপ চাল ৩৫ টাকা কেজিতে সংগ্রহ করা হবে। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই সংগ্রহ অভিযান চলবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই জেলার সাতটি গুদামে ক্রয় অভিযান শুরু করা হবে।

জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন বলেন, ধানের বাজার দর যে অবস্থায় রয়েছে সেটি একই রকম থাকবে না, পরিবর্তন ঘটবে। সরকারিভাবে ক্রয় অভিযান শুরু হলে স্বাভাবিক ভাবে ধানের বাজারে প্রভাব ফেলবে।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close