দেশজুড়ে

‘ক্লাবে কোনও জুয়া চলে না, আমরা ওয়াজ-মাহফিল করি’

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ চাঁদপুরের পুরানবাজার ভাই ভাই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের দাবি, তার ক্লাবে কোনও জুয়ার আসর বসে  না। সেখানে খেলার বাইরে শুধু ওয়াজ-মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অথচ জুয়া, মদসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দু’দিন আগে স্থানীয় জেলা প্রশাসন এই ক্লাবটিসহ বেশ কয়েকটি ক্লাব বন্ধ করে দিয়েছে।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ক্লাবে কোনও জুয়া চলে না। ক্লাবের মাঠে আমরা ইসলামী মহাসম্মেলন করি। ফুটবল, ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ছাড়া ক্লাবে কোনও কিছুরই আয়োজন করি না আমরা। টাকার জন্য আমাদের ক্লাব ঘর ভাড়া দিতে হয় না। মেম্বাররাই আমাদের টাকা দিয়ে ক্লাব চালায়। আমরা ওয়াজ-মাহফিল করি।’

চাঁদপুর ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, নতুন বাজার ক্রীড়াচক্র, আবাহনী স্পোর্টিং ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাব, আউটার স্টেডিয়ামের সোনালী অতীত ক্লাব, পুরান বাজারের ভাই ভাই স্পোর্টিং ক্লাব, পূর্ব শ্রীরামদী ক্লাব, বাবুরহাট একাদশ ক্লাব দু’দিন আগেও সন্ধ্যার পর ঝলমলে আলোয় সেজে উঠতো। লোক পদচারণায় মুখর থাকতো। সন্ধ্যার পর থেকে বসতো জমজমাট জুয়ার আসর। তা চলতো রাতভর। জুয়ার সঙ্গে মদও থাকতো। সেসব ক্লাবে এখন সুনসান নীরবতা। দেখা যায় না তীব্র আলোর ঝলকানি। কারণ স্থানীয় প্রশাসন এসব ক্লাবের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর হুঁশিয়ারির পরই এ ব্যবস্থা নিলো প্রশাসন।

চাঁদপুরের নতুন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতাম না। সম্প্রতি কয়েকটি ক্লাবের বিষয়ে খবর পেয়েছি। এরপর থেকে এসব ক্লাবের ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে যাতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না চলতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য কোনও ক্লাবের অনুমতি নেই। আমরা কোথাও জুয়া বা অবৈধ কর্মকাণ্ডের খবর পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সব প্রকার অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছি। সরকারের অনুমোদন নেই এমন কোনও কার্যক্রম আমরা চলতে দিতে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘শুধু চাঁদপুর ক্লাবই নয়, এখানকার আরও কয়েকটি ক্লাবকেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close