প্রধান শিরোনামশিল্প-বানিজ্য

খাদ্য ব্যবসায়ীদের এক সংস্থার অধীনে আনার প্রক্রিয়া চলছে —খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্য উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীকে সরকারি ১৮টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। এজন্য বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। তাই খাদ্য ব্যবসায়ীদের এক সংস্থার অধীনে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তবে খাদ্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এজন্য কারা তদারকি করবে সে বিষয়টি কেবিনেটে (মন্ত্রিপরিষদ সভা) উত্থাপন করা হয়েছে। কেবিনেট বলে দেবে এগুলো কার কাজ।

গতকাল ‘বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস ২০২২’ উপলক্ষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘উন্নত অর্থনীতির জন্য নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক সেমিনারের তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্ব আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন মিয়া, এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট সিম্পসনসহ খাদ্যসংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রধান, এফএওর প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

সাধন চন্দ্র মজুমদার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা খাদ্যের মান উন্নয়ন করুন। কেউ কেউ মুনাফার জন্য ইচ্ছে করে অনিরাপদ খাদ্য তৈরি করে। আমরা চাই দেশের খাদ্য বিদেশের বাজার জয় করুক। এখন যেটুকু বিদেশে রফতানি হচ্ছে, সেটা প্রবাসী বাংলাদেশীরা খাচ্ছে। অন্যান্য দেশের মানুষ বাংলাদেশী পণ্য খাবে। চাল নিরাপদ করতে কতটুকু ছাঁটাই করা যাবে, কী মেশানো যাবে, কোনটা যাবে না, সে আইন করছি। তাতে পুষ্টিমান ঠিক থাকবে। খসড়া আইনটি কেবিনেটে পাস হয়েছে। আশা করছি, আগামী অধিবেশনে সেটি পাস হবে। তখন চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য জনসচেতনতাও দরকার। আমরা বস্তায় চাল কিনি না। কিন্তু যখন পালিশ করে প্যাকেটে ভরে সেটা ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনি। সেজন্য ব্যবসায়ীরা সেটা করে।
/একে

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close