দেশজুড়ে

গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ২ পুলিশ

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইয়াবা দিয়ে এক যুবককে ফাঁসানোর ঘটনায় পুলিশের এক সোর্স আল-আমীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর পলাতক রয়েছেন মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির দুই কনস্টেবল আ. হালিম ও তোজাম্মেল হক।

শনিবার(৩০ নভেম্বর) ভোররাতে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকা থেকে আল-আমীনকে গ্রেফতার করা হয়। সে মির্জাপুর উপজেলার বাওরা গ্রামের আজাহার উদ্দিনের ছেলে।

সখীপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সখীপুরের হতেয়া রাজাবাড়ি এলাকায় বজলু নামের এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টায় পাঁচ পুলিশসহ দুই সোর্সের নামে মাদক আইনে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন সখীপুর থানার এসআই আয়নুল ইসলাম। ঘটনাস্থলে তিন পুলিশসহ এক সোর্সকে ২৫ পিচ ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় জনতা।

এ দিকে শুক্রবার বিকালে মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল সাহা, রাসেল মিয়া ও পুলিশের সোর্স হাসান মিয়াকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সখীপুর থানার ওসি মো. আমির হোসেন বলেন, সোর্স আল-আমীনকে সঙ্গে নিয়ে পলাতক দুই পুলিশকে গ্রেফতার করতে অভিযানে রয়েছে পুলিশ।

এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিএনজিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তা এলাকায় এসে বজলু (২৬) নামের এক যুবককে আটক করে তার পকেটে জোরপূর্বক ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে পুলিশের সিএনজিতে তুলে নেয়।

এ সময় ফরিদ নামের এক যুবক চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সিএনজিসহ তাদের আটক করেন। আটককৃতরা পুলিশ পরিচয় দিলে বজলু জনতাদের বলে আমার পকেটে উনারা কিসের প্যাকেট যেন ঢুকিয়ে দিয়েছে। এ সময় জনগণ তার পকেটে থাকা প্যাকেটের মধ্যে ইয়াবা দেখতে পান।

তখন জনগণ পুলিশের দেহ তল্লাশি করে তাদের পকেটে আরও দুটি ইয়াবার প্যাকেট পায়। স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি ঘরের নিয়ে আটক করে রাখেন। এর আগে জনগণ তাদের কিল-ঘুষি দেন।

সংবাদ পেয়ে সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবির পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সখীপুর থানায় নিয়ে আসেন।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close