দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ছাত্রী ধর্ষণের ক্ষোভে উত্তাল ঢাবি, ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার বিচার দাবি করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল থেকেই অসংখ্য শিক্ষার্থী ছাত্রী ধর্ষণের বিচার দাবি করে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এর আগেই বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্য ও মধুর ক্যান্টিনসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। ধর্ষণের বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবরোধ।

ধর্ষণের খবর জানাজানি হলে গত রাত থেকেই দফায় দফায় ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।

এদিকে, রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

রবিবার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। পরে রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন মেডিকেল বোর্ড গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেছেন মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওই ছাত্রীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

আজ সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ধর্ষণের শিকার দেখতে গিয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়, দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা মর্মাহত। তার বাবা ভেতরে আছে, তবে আমরা সবাই তার পাশে আছি। তাকে মানসিকভাবে শক্ত ও সমর্থ করে তোলাই আমাদের প্রধান কাজ। তিনি বলেন, তার অভিভাবকত্ব যেহেতু আমাদের, তাই তার সর্বোত্তম দায়িত্ব আমাদের। আমাদের সবটুকু তার জন্য নিবেদিত।

ভিসি বলেন, মেয়েটির পাশে দাঁড়ানো আমাদের প্রথম দায়িত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছে। ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা প্রয়োজন তাই করবে। তাকে মনে রাখতে হবে সে আমাদের মেয়ে, আশা রাখি তার মনোবল শক্ত থাকবে।

ভিসি আরো বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় তৎপর আছে। দ্রুততম সময়ে দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য তাদের অনুরোধ করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থানায় ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই মামলা করতো। এরপরও যেটুকু সহায়তা দরকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সহায়তা দেবে।

#এমএস

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close