দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

টাকা-গহনা নিয়ে মিরপুরের তিন কলেজছাত্রী ‘উধাও’

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: মিরপুর পল্লবীতে তিন কলেজছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক অভিভাবক। শুক্রবার (০১ অক্টোবর) নিখোঁজ কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসার মা মাহমুদা আক্তার পল্লবী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- তরিকুল, তার ভাই রকিবুল ও জিনিয়া। এর মধ্যে জিনিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের পরিচিত মুখ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আরিফুল ইসলাম সংবাদমধ্যমকে বিষয় নিশ্চিত করেন।

নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থী হলেন- কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার। তারা প্রত্যেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দিলখুশ জান্নাত নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ ফাতেমা দুয়ারিপাড়া কলেজের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে কলেজের পোশাক পরে তারা নিজেদের বাসা থেকে বের হয়ে যান। তবে বের হওয়ার আগে তারা নিজেদের সঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও স্কুলের সার্টিফিকেট নিয়ে নেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

তিন ছাত্রীর পরিবারের ধারণা তারা কোনো পাচারকারী চক্রের হাতে পড়েছেন। কারণ, কিছুদিন আগে তারা জাপান যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।

পরিবারের বরাত দিয়ে উপ-কমিশনার আরিফুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে তারা জাপান যাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবেশী এক যুবকের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এ ঘটনায় ওই যুবকসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নিখোঁজ দিলখুশের বোন আইনজীবী কাজী রওশন দিল আফরোজ সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তিনজনই কলেজের পোশাক পরে বাসা থেকে বের হন। তাদের সঙ্গে কলেজের ব্যাগ ছিল। এরমধ্যে দিলখুশ বাসা থেকে ছয় লাখ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়েছেন। অপর দু’জনের একজন আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং আরেকজন ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছেন।

কাজী রওশন দাবি করেন, প্রতিবেশী তরিকুল প্রায়ই দিলখুশের সঙ্গে কথা বলতেন। তিনি নিজেকে অনেক বড় হ্যাকার হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লোক পাঠানোর কথা বলতেন তার বোন দিলখুশকে। এতে দিলখুশ তার কথার ফাঁদে পড়েন বলে ধারণা।

ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে আইনজীবী কাজী রওশন বলেন, তরিকুলের ওই প্রস্তাবের পর বাসায় এসে দিলখুশ আমাকে বলে, ‘আপু, তরিকুল তোমাকে তার প্রতিষ্ঠানের আইন উপদেষ্টা হিসেবে চাকরি দেবে। এ ঘটনার পর তরিকুলের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তিনি ও তার ভাই রকিবুল বৃহস্পতিবার থেকে বাসায় নেই। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ।

পল্লবী থানা পুলিশ জানায়, অভিযোগ পাওয়ার পর তরিকুলসহ দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তারা ছাত্রীদের নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে কিছু জানে না বলে দাবি করেছেন। অবশ্য বন্ধু ও স্থানীয় হওয়ায় মাঝেমধ্যে তাদের কথা হতো।

এদিকে নিখোঁজ ছাত্রীদের স্বজনদের দাবি, অভিযুক্ত জিনিয়া তরিকুলের বান্ধবী। তার ব্যাপারে খোঁজ নিতে বাসায় গেলে পরিবারের সদস্যরা দুর্ব্যবহার করেছেন। এমনকি জিনিয়া তাদের সাথে দেখা করতে রাজি হননি। তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছে। (সূত্র: সময় টিভি)

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close