দেশজুড়েপ্রধান শিরোনাম

ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে ভিসা জালিয়াতি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে জালিয়াতির আশ্রয় নিচ্ছে কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি। ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে গ্রাহকের পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশের জাল ভিসা ও ইমিগ্রেশন সিল সংযুক্ত করে দিচ্ছে। আর বিষয়টি ধরা পড়েছে খোদ মার্কিন দূতাবাসের তদন্তে। দূতাবাসের করা মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ ভিসা জালিয়াত চক্রের ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো পলাশ চন্দ্র দাস, ওয়াহিদ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম সুমন, মাহবুবুর রহমান খান, আবু জাফর ও আরিফুর রহমান।

সম্প্রতি ঢাকার মার্কিন দূতাবাস কয়েকজন ভিসাপ্রত্যাশীর তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখতে পায়, আবেদনকারীর পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের যে তথ্য রয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া। অর্থাৎ ভিসাপ্রত্যাশীর পাসপোর্টে অন্য দেশের ভিসা, ইমিগ্রেশন সিল সবই জাল। বিষয়টি নজরে আসার পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সহকারী আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাইকেল লি বাদী হয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গুলশান থানায় মামলা করেন। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমেরিকা যেতে ইচ্ছুক কিংবা দেশটির ভিসা পেতে আগ্রহীদের পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশের জাল ভিসা যুক্ত করত ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে।

তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা পাসপোর্টে দেখা যায়, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ যেসব দেশের ভিসা রয়েছে জালিয়াতি করে তৈরি করা। অ্যারাইভাল ও ডিপারচারের সিলও নকল।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, পাসপোর্টের ওজন বাড়াতে তারা বিভিন্ন দেশের এয়ারপোর্টে ইন ও আউট দেখিয়েছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য। অ্যাম্বাসিতে জমা দেয়া তাদের ভিসাগুলোও ভুয়া। এ কাজে তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

পুলিশ বলছে, চক্রটি গত দুই-তিন বছর ধরে জাল সিল এবং ভিসা পাসপের্টে সংযুক্ত করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

ভিসা জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা।

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close