দেশজুড়ে

ঢাকায় তৈরি হয় ইন্ডিয়ান রুপি

ঢাকা অর্থনীতি ডেস্কঃ ঢাকার রামপুরায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বলেছে, এরা একটি ফ্ল্যাটে ভারতীয় জাল মুদ্রা তৈরির কারখানা বসিয়েছিলেন।সোমবার সকালে রফিকুল ইসলাম খসরু, জনি ডি কস্তা ও আব্দুর রহিম নামে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মশিউর রহমান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আসন্ন কোরবানির ঈদে ভারত থেকে পোশাক ও কোরবানির গরু আমদানির কাজে ব্যবহারের জন্য এই ভারতীয় জাল নোট তৈরি করছিলেন তারা। এর হোতা খসরু ও জনি।তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ১৯ লাখ রুপি সমপরিমাণ ৫০০ ও ২০০০ রুপির জাল নোট পাওয়ার কথা জানিয়েছে ডিবি।

এছাড়া একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, একটি লেমিনেশন মেশিন, বিপুল পরিমাণ কাগজ, প্রিন্টারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কালি, সিকিউরিটি সিল সম্বলিত স্ক্রীন বোর্ড, গাম ও সিল মারা ফয়েল পেপারও উদ্ধার করা হয়েছে।

এই ফ্ল্যাটে জনি তার মা এবং স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন। তবে অভিযানের সময় জনির স্বজনদের কেউ বাসায় ছিলেন না বলে ডিবি কর্মকর্তা মশিউর জানান।খসরু ও রহিমের বিরুদ্ধে জাল নোট তৈরির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। খসরু এর আগে বাংলাদেশের নকল টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলেও ডিবি জানিয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা মশিউর বলেন, আগে বাংলাদেশি টাকা জাল করা হলেও ভারতীয় নকল মুদ্রা ছাপানোর এই কাজটি এবার পরীক্ষামূলকভাবে তারা শুরু করে।“প্রথমদিকে রুপির মানের দিক থেকে খুব একটা ভালো ছিল না, এবার মানের দিকে তারা বেশি নজর দিয়েছে। নিখুঁত গ্রাফিক্সের কাজটি করে জনি। আর রহিম কাগজসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম সংগ্রহ, পরে তা কাটা এবং গোছানোর কাজটি করে। আর খসরুর পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত লোকের কাছে জাল রুপিগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়। সীমান্ত এলাকা যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে লোক এসে এসব রুপি নিয়ে যায়।

”গত তিন-চার মাসের মধ্যে ১২/১৩ লাখ রুপি বাজারে ছেড়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছেন। তবে ডিবির ধারণা, এর প্রায় তিন গুণ বেশি জাল নোট তারা বাজারে ছেড়েছে।

/আরএম

Related Articles

Leave a Reply

Close
Close